পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি:
Advertisement
পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদারের জামিন শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে কলকাতার নগর দায়রা আদালত। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি তার জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ মোট ছয় জনকে আগামী ২৮ মার্চ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে প্রাণেশের হয়ে আদালতে জামিনের জন্য লড়েন আইনজীবী মিলন মুখার্জী।
Advertisement
আইনজীবী মিলন মুখার্জী বলেন, টানা ২৭০ দিন প্রাণেশ হালদার কারাগারে রয়েছে। তিনি অসুস্থ, স্নায়ুরোগে আক্রান্ত, থাইরয়েড রয়েছে, তার একটি ছোট কন্যা রয়েছে। তাছাড়া প্রাণেশ একজন ভারতীয় নাগরিক। তার বিরুদ্ধে এমন কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পক্ষের আইনজীবী অরজিৎ চক্রবর্তী এই জামিনের বিরোধিতা করেন। অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ এবং দুর্নীতি দমন আইন-১৯৮৮ মামলায় পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সব রকম তথ্য স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে তুলে ধরেন তিনি।
বাদী ও বিবাদী পক্ষে আইনজীবীদের সব রকম যুক্তি শোনার পর বিচারপতি শুভেন্দু সাহা একটু সময় চেয়ে নেন। এদিন বিকেল ৫টার পর বিচারপতি শুভেন্দু সাহা প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিনের আবেদনের শুনানির সময় ধার্য করেছেন আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে কলকাতার অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২০২২ সালের ১৪ মে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের।
Advertisement
গত ১১ জুলাই ২০২২ সালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ এবং দুর্নীতি দমন আইন-১৯৮৮ মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়। টানা ২৭০ দিন পি কে হালদারসহ ৫ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছে প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
এমএসএম/টিটিএন