ভারতের মুম্বাই ও দিল্লির অফিস বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার। এখন থেকে এ দুটি অফিসের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে টুইটার সদরদপ্তর।
Advertisement
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে টুইটারের তিনটি অফিস ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইলন মাস্কের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে মুম্বাই ও দিল্লির অফিস বন্ধ করে দেওয়ার এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক কেন্দ্র নয়াদিল্লি ও অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাইয়ের টুইটার কার্যালয় দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতের প্রযুক্তির রাজধানীখ্যাত বেঙ্গালুরুতে কার্যালয় চালু রেখেছে টুইটার। এ শাখার অধিকাংশ কর্মী প্রকৌশলী।
গত বছরের শেষ দিকে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পাওয়ার পরপরই ভারতের দুই শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করেন ইলন মাস্ক। হিসাব অনুযায়ী, সেসময় টুইটারে কর্মরত ভারতের ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হন।
Advertisement
বলা হচ্ছে, ইলন মাস্ক ২০২৩ সালের মধ্যে টুইটারকে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল করার আপ্রাণ চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই বিশ্বজুড়ে একবারে অসংখ্য কর্মী ছাঁটাই ও একাধিক কার্যালয় বন্ধ করে দিচ্ছেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে টুইটার। এ প্ল্যাটফর্মে প্রায়ই ভারতীয়দের মধ্যে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পোস্ট ও মন্তব্য করতে দেখা যায়।
জানা যায়, টুইটারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আট কোটি ৬৫ লাখ অনুসারী থাকলেও ভারত থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো রাজস্ব পায়নি টুইটার।
গত বছরের ১৪ এপ্রিল তৎকালীন শীর্ষ ধনী ও মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার ঘোষণা দেন। এ জন্য তিনি চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার দাম প্রস্তাব করেন। তবে প্রাথমিকভাবে ওই দাম প্রত্যাখ্যান করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। তবে ওই বছরের ২৫ এপ্রিল মাস্কের প্রস্তাবে রাজি হয় তারা।
Advertisement
বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই টুইটারের শেয়ারের দাম পড়তে শুরু করে। কোম্পানি হিসেবে টুইটারের দামও তখন কমতে থাকে। এরই একপর্যায়ে ইলন মাস্ক জানতে পারেন, টুইটারের আসল ব্যবহারকারীর যে সংখ্যা তাকে বলা হয়েছে, তা সঠিক নয়। এরপরই টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন মাস্ক। তবে আইনি বাধ্যবাধকতায় পূর্বের দেওয়া দামেই টুইটার কিনে নিতে বাধ্য হন মাস্ক।
সূত্র: ব্লুমবার্গ, এনডিটিভি
এসএএইচ