লাইফস্টাইল

হাই প্রেশারের গুরুতর যে লক্ষণ দেখা দেয় পায়ে

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। রক্তচাপের স্বাভাবিক চাপ ১২০/৮০। তবে যদি এটি ১৩০/৮০ এর বেশি হয় তাহলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

Advertisement

আর যদি আপনার রক্তচাপ ১৮০/১১০ বা তার বেশি হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নিতে হবে। না হলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে যখন তখন।

আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার হওয়ার ৫ কারণ

উচ্চ রক্তচাপ কেন ‘নীরব’ ঘাতক?

Advertisement

রক্তচাপ বেড়ে গেলে তেমন কোনো লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পায় না। ফলে অনেকেই জানতেও পারেন না যে তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ) অনুসারে, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন অনেকেই জানেন না যে তাদের এই সমস্যা আছে। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক’সহ হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: মুখে ঘা হয় কেন? সারানোর উপায় জানুন

পায়েও দেখা দেয় গুরুতর লক্ষণ

Advertisement

উচ্চ রক্তচাপের কারণে শরীরের বিভিন্ন রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে শরীরের নীচের অংশে এক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে শরীরের নীচের অংশের ধমনী ও রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ফলে পায়ে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। এর সঙ্গে যুক্ত অবস্থাকে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (পিএডি) বলা হয়। মায়ো ক্লিনিকের মতে, পিএডি বা প্যাড হলো একটি সাধারণ অবস্থা যেখানে সরু ধমনী হয়ে যায়।

ফলে হাত ও পায়ে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। এক্ষেত্রে হাঁটার সময় পায়ে ব্যথা হতে পারে (ক্লোডিকেশন)। এমনকি পা সব সময় ঠান্ডা থাকতে পারে এ সমস্যা হলে।

আরও পড়ুন: খালি পেটে চা পানের অভ্যাস হতে পারে মারাত্মক

ইউএস অ্যাডভান্সড ফুট অ্যান্ড অ্যাঙ্কেল কেয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুল লালচে বা নীল হয়ে গেলে, পা ঝি ঝি করলে কিংবা অপ্রত্যাশিত চুল পড়া সবই রক্ত সঞ্চালনের সমস্যাকে নির্দেশ করতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের অন্যান্য সাধারণ লক্ষণ কী কী?

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের মতে, উচ্চ রক্তচাপের অন্যান্য লক্ষনগুলো হলো- ঝাপসা দৃষ্টি, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যাথা, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: হঠাৎ করেই এ সময় গলাব্যথা হলে দ্রুত যা করবেন

কীভাবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবেন?

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার অনেক উপায় আছে। তার মধ্যে আছে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, খাদ্যতালিকায় লবণ কমানো। এর পাশাপাশি অ্যালকোহল সীমিত করা ও ধূমপান ত্যাগ করা জরুরি।

ইউকে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) তথ্য অনুসারে, আপনি যত বেশি লবণ খাবেন রক্তচাপ ততই বাড়বে। তাই দিনে ২ গ্রাম বা এক চা চামচ পর্যন্ত লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এর পাশাপাশি কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে। যাতে প্রচুর ফাইবার আছে, যেমন- গোটা শস্যের চাল, রুটি, পাস্তা, ফল ও শাক সবজি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস