জাতীয়

পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত নিরসনের তাগিদ

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্রাতিষ্ঠানিক প্লট বরাদ্দ নিয়ে সৃষ্ট আইনি জটিলতা দ্রুত নিরসনের তাগিদ দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে প্রকৃত মালিকদের প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

Advertisement

কমিটি সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালের জুলাইয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জের ছয় হাজার ২২৭ একর জমিতে বাস্তবায়ন শুরু হয় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প। তিন দফা সময় বাড়িয়ে ২০১০ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। এরপর আরও দুই দফা সময় বাড়িয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তাও সম্ভব হয়নি।

এরপর ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে একপর্যায়ে ২০২১ সালের জুনে শেষ করার কথা বলা হয়। এ মেয়াদও একবছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। সর্বশেষ পুরো প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে।

এ প্রকল্পে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৬ হাজার ২১৩টি আবাসিক প্লট রয়েছে। এসব প্লট সবই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্লটের মালিকানা কাগজপত্রেও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে একই প্লট দুই ব্যক্তির নামে গেছে। এমনকি প্লটের বরাদ্দ ও মালিকানা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। ওইসব সমস্যা সমাধানের তাগিদ দিয়েছে কমিটি।

Advertisement

জানা গেছে, বৈঠকে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চলমান প্রকল্পসমূহের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন ভবন নির্মাণের ন্যায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ভবন নির্মাণে পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদানের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া বৈঠকে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের সমন্বয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন ও ফরিদা খানম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এএএইচ/জেআইএম

Advertisement