অর্থনীতি

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে উৎসে কর প্রত্যাহার চায় আইসিএমএবি

সব ধরনের কৃষিজাত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতাবহির্ভূত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। পাশাপাশি ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য জনপ্রিয় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান থেকে আয়কে করারোপনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান প্রবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে আইসিএমএবি।

Advertisement

একই সঙ্গে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লাখ করারও প্রস্তাব দিয়েছে আইসিএসবি।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব ভবনে কয়েকটি আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন>>চরম গরম মসলার বাজার

Advertisement

রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আইসিএমএবি, আইসিএসবি, আইএবি, বাংলাদেশ ভ্যাট প্রফেশনাল ফোরাম, ইরনেস্ট অ্যান্ড ইয়ং অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেডের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিজিটাল ইকোনমির আয়ের ওপর কর আরোপ প্রসঙ্গে আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়কর আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস না থাকলে কোনো বিদেশি কোম্পানিকে কর ধার্যের আওতায় আনার বিধান নেই। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে স্থায়ী স্থাপনা না রেখে বিদেশি কোম্পানিগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে। ভ্যাট আইনের মতো আয়কর আইনে স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান করা হলে বিদেশি কোম্পানি স্থানীয় এজেন্ট রাখবে ও তা তাদের বাংলাদেশের স্থানীয় স্থাপনা বলে বিবেচিত হবে। এতে তারা বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর কর প্রদানে বাধ্য থাকবে।

আরও পড়ুন>>রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিচ্ছে বিএনপি

Advertisement

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর উৎসে কর প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাল, ডাল, আটা, ময়দাসহ সব ধরনের কৃষিজাত পণ্যে ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

এসময় পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বলেন, অর্থবছর শেষ হওয়ার পর আয়কর আইনের শর্ত শিথিল বা সুবিধা দিলে তা করদাতাদের খুব বেশি কাজে আসে না। এছাড়া বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির মূলধনের ওপর ঋণ প্রাপ্তির সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব জানানো হয়। রাজস্ব আহরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ সহজ করার তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আইন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কথাও বলেন নেতারা।

আরও পড়ুন>> রমজানের ভোগ্যপণ্য/সরকারে স্বস্তি, ব্যবসায়ীরা শঙ্কায়

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের কাজ চলছে। তাড়াহুড়ো করে কোনো নীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং ধীরে ধীরে সহনীয় পরিবর্তন আনায় বিশ্বাস করে এনবিআর।

এসএম/ইএ/এএসএম