তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক নন। তাকে খুব বড় তারকাও বলা যায় না। তারকা, খ্যাতি, পরিচিতি, নাম-ডাক আর পরিসংখ্যান যাই বলা হোক না কেন সাকিব, তামিম, মুশফিক আর রিয়াদ তার চেয়ে বড়। নাম-ডাকও অনেক বেশি। মাঠের পারফরমেন্সকে মানদন্ড ধরলে তারাই এগিয়ে থাকবেন।
Advertisement
জনপ্রিয়তার বিচারেও সাকিব, তামিম, মুশফিক-রিয়াদরা অনেক ওপরে; কিন্তু জানেন কি বিপিএলে অধিনায়ক হিসেবে তারা সবাই ইমরুল কায়েসের পেছনে। সাফল্যকে মানদণ্ড ধরলে মানে চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির পরই ইমরুল কায়েস। অধিনায়ক মাশরাফির বিপিএল ট্রফি চারটি।
আর ইমরুলই মাশরাফির পর একমাত্র ক্যাপ্টেন যার নামের পাশে আছে দুটি শিরোপা। এবার জিতলে চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির খুব কাছে চলে আসবেন ইমরুল। বৃহস্পতিবার ফাইনালে কুমিল্লা জিতলে অধিনায়ক ইমরুলের শিরোপা হবে তিনটি। তখন মাশরাফির সাথে তার শিরোপার পার্থক্য থাকবে মাত্র একটি।
তার অধীনে অনেক বড় বড় তারকা খেলেছেন। ইমরুলের নেতৃত্ব মেনে ভাল পারফর্মও করেছেন। এবারও তার অধীনে খেলেছেন পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ তারকা মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি চলে যাওয়ার পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের তিন পোস্টারবয় আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিন আর মইন আলিও কুমিল্লায়।
Advertisement
কাজেই এটা বলেই ফেলা যায়, তারকা খ্যাতিতে অনেকের চেয়ে পিছিয়ে থেকেও ইমরুল নেতৃত্বগুনে একদম হেলাফেলার নয়। তাই তিনি এক বড়সড় মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে।
ফাইনালের আগে কি ভাবছেন ইমরুল? ফাইনালের আগে সেভাবে নিজের সাফল্যের মাইলফলক নিয়ে তেমন কিছু বলেননি ইমরুল। শুধু জানিয়েছেন, প্রথম ৩ ম্যাচ হারার পরও ভেঙ্গে পড়েননি। আত্মবিশ্বাস হারাননি। বিশ্বাস ছিল ফাইনাল খেলার। ফাইনাল নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে নারাজ ইমরুল।
তার কথা, ‘আমাদর ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব দিতে হয় যে তারা তিন ম্যাচ হারের পরও ভাল খেলে ফাইনালে উঠে এসেছে। তবে ফাইনাল নিয়ে খুব বেশি না ভেবে ইমরুল চান এটাকে অন্য আর সব ম্যাচের মত ধরে আগাতে।’
অধিনায়ক হিসেবে ইমরুল চান ২০০ রান করতে। আর প্রতিপক্ষ সিলেটকে ৫০ রানে অলআউট করতে; কিন্তু সেটা সহজ কাজ নয়। তা করতে হলে অনেক ভাল খেলতে হবে। সেটাই চান ইমরুল।
Advertisement
প্রতিপক্ষ সিলেটকে হালকাভাবে নিতে নারাজ কুমিল্লা অধিনায়কল। সিলেটের ফাইনালে উঠে সম্পর্কে তার মত, ‘অবশ্যই ভালভাবে দেখছি। কারণ তারা দারুণভাবে শুরু করে ফাইনালে উঠে এসেছে। এটা তাদের কৃতিত্ব দিতে হয়। বিশেষ করে সিলেটের তরুণরা খুব ভাল খেলেছে। সিলেট অবশ্যই শক্তিশালী দল। আমাদের ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে। তাহলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব।’
এআরবি/আইএইচএস