জাতীয়

মাধবকুণ্ডে মাস্টারপ্ল্যানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের সুযোগ বাড়বে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, টেকসই ব্যবস্থাপনা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে ইকো-ট্যুরিজমসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, মাধবকুণ্ড এলাকার প্রকল্প কার্যক্রম সফলভাবে সমাপ্তির পর নিঃসন্দেহে দর্শনার্থীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়বে। বনায়ন কার্যক্রম, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ব্যাপক সম্পদ সৃষ্টি হবে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, বিদ্যমান ভূমির ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত এলাকাকে তিনটি জোনে বিভক্ত করা হবে। পাহাড়ের ঢালসহ বনভূমি ও বনভূমির আশপাশের ক্যাচমেন্ট এরিয়া সংরক্ষণের জন্য একটি বন সংরক্ষণ জোন থাকবে। যেখানে বিরল ও সংকটাপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীদের সংরক্ষণের ব্যবস্থ থাকবে। বন সংরক্ষণ জোনের মোট আয়তন হবে ৯২৫ একর। প্রকল্প এলাকায় তথ্যকেন্দ্র, জাদুঘরসহ বিবিধ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি ইকো-ট্যুরিজম জোনের প্রস্তাব করা হয়েছে। পার্ক এলাকায় মধ্যে ইকো-ট্যুরিজম জোনটির আয়তন হবে ৩ দশমিক ৯৬ একর।

Advertisement

শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যানে আউটডোর বিনোদনের জন্য ইকোপার্ক এলাকার বাইরে ব্যক্তিগতভাবে ছোট রিসোর্ট, কটেজ, কনভেনশন হল বা মিটিং ফ্যাসিলিটি সম্পন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য একটি বর্ধিত ইকো-ট্যুরিজম জোনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এ প্রকল্পে নতুন মাত্রা যোগ করছে। বর্ধিত ইকো-ট্যুরিজম জোনের আয়তন হবে ৩৯১ একর।

মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় মাধবকুণ্ডে দর্শনার্থীদের জন্য ক্যাবলকার স্থাপন করা হবে। এছাড়া জলপ্রপাত ফুট ট্রেইল, নৃ-তাত্ত্বিক জাদুঘর, মসজিদ, রেস্টুরেন্ট, কফি কর্নার, বিশ্রামের জায়গা ছাউনিসহ বসার স্থান এবং প্রধান পার্কিং এলাকায় পাঁচটি স্যুভেনির শপ নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট, কেন্দ্রীয় বাস ও কার পার্কিং, চিলড্রেনস কর্নার, হালকা যানবাহনের পার্কিং, প্রজাপতি পার্ক, এনরিচমেন্ট বাগান, বিদ্যমান স্থাপনা পুনর্বাসন করা হবে।

পার্ক এলাকায় পানি সরবরাহ, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, সীমানা প্রাচীর, ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে ইকো-লজ, নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন, জলপ্রপাত পর্যবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম, ছড়ার পাশ দিয়ে সংরক্ষণমূলক, প্রাথমিক চিকিৎসা বা জরুরি উদ্ধারকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

Advertisement

আইএইচআর/এএএইচ/জিকেএস