বিমানভাড়া কমানোসহ হজ প্যাকেজের মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। বুুুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া এক চিঠিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের অনুসারে- ২০১৫ সালে হজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা। ২০১৭ সালে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: হজ প্যাকেজ ঘোষণা, এবার জনপ্রতি খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা
২০২২ সালে হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা এবং ২০২৩ সালে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাব বিবেচনায় নিলে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজের ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৫ টাকা। অথচ এ বছর সৌদি সরকার হজের আনুষঙ্গিক ব্যয় কমিয়েছে।
Advertisement
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে হজযাত্রীদের নির্ধারিত বিমানভাড়া ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে নির্ধারিত বিমানভাড়া আগের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বিমানভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে হজ প্যাকেজের মূল্য বেড়েছে। বর্তমানে সৌদি রিয়ালের মূল্য হিসাব করে সৌদি আরবের খরচ নির্ধারণ করা হলেও হজের সময় রিয়ালের মূল্য টাকার বিনিময় মূল্য বাড়বে বলে সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর হজে যাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮
এছাড়া সারাবিশ্বে আর্থিক মন্দার কারণে যে ডলার সংকট বিরাজ করছে তার প্রভাবে হজযাত্রীদের আর্থিক চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে এর ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ থেকে মুসল্লিরা হজে যাওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলবেন। বিমানভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারিত করা হলে হজযাত্রীদের আর্থিক ও মানষিক চাপ আনেকটাই কমবে।
এ অবস্থায় ২০২৩ হজ প্যাকেজে উল্লিখিত বিমানভাড়া কমানোসহ প্যাকেজ মূল্য পুনর্বিবেচনা করতে হাজিদের অর্থকষ্ট লাঘবে বিশেষভাবে আবেদন জানিয়েছেন আটাব সভাপতি এস এন মঞ্জুর মোর্শেদ।
Advertisement
এমএমএ/বিএ/জিকেএস