প্রথম পর্বে ৫ হাজার বাসগৃহ ‘বীর নিবাস’ পেয়েছেন ৫ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর নিবাসের চাবি তুলে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে।
Advertisement
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন ‘অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নড়াইল, মাদারীপুর, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ- এ পাঁচ জেলার জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বীর নিবাসের চাবি তুলে দেন। এ পাঁচ জেলা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিল।
নড়াইলে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল সবুরের হাতে বীর নিবাসের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান। মাদারীপুর জেলায় অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মজিদ হাওলাদারের হাতে চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন।
Advertisement
আরও পড়ুন: বীর নিবাসের কাজে অনিয়ম, প্রতিবাদ করে হুমকিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
গাজীপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর মজিদ সরকারের কাছে বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। গোপালগঞ্জে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন শিকদারের হাতে চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।
এছাড়া কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোহরাব উদ্দিনের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বীর নিবাসের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল কলাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এরই মধ্যে পাঁচ হাজার বীর নিবাস (মুক্তিযোদ্ধাদের বাসগৃহ) নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলোর চাবি আজ হস্তান্তর করা হলো। এছাড়া ১৭ হাজার ৬৬০টি বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ চলমান। একতলা বিশিষ্ট প্রতিটি বীর নিবাসের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার ২৮২ টাকা।
Advertisement
আরও পড়ুন: ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে অনিয়ম, কাজ বন্ধ করলেন ইউএনও
‘অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ৪ হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করা হবে। তহবিল পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে প্রকল্পের কাজ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সব সেবা ডিজিটাল করা হয়েছে। জিটুপি পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতা দেওয়া হয়, এখন আর তাদের ভাতা তুলতে ব্যাংকের লাইনে গিয়ে অপেক্ষা করতে হয় না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আমাদের শুনতে হয়, পাকিস্তান আমলেই নাকি আমরা ভালো ছিলাম। অর্থাৎ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে তারা অস্বীকার করছে। মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা কূটকৌশলে এ অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইবোনদের কাছে আমাদের আহ্বান, বঙ্গবন্ধু নেই। কিন্তু তার রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা এখনো আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। ১৯৭০ সালে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, আজও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ বছর বিজয়ের মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই জাতীয় নির্বাচনে তাকে নির্বাচিত করে মুক্তিযযুদ্ধের চেতনাকে আমরা ধরে রাখবো। এই হোক আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় ও অঙ্গীকার।
আরএমএম/এমএইচআর/এমএস