দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমির খামার রেপটাইলস ফার্ম।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হাতিবেড় গ্রামে কুমির খামারে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে পরিচালনা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. নাইম আহমেদ বলেন, মুখ থুবড়ে পড়া খামারটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১ হাজার ৭৩০টি কুমির অসুস্থ পাই। তখন প্রতিদিনই কুমির মারা যাচ্ছিল। সেই সংকট কাটিয়ে আমরা এখন একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছি। যেহেতু কুমিরের চামড়া ছাড়া মাংস, দাঁত, হাড় রপ্তানি করা যায় না, সেহেতু খরচ চালানো একটু কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই পর্যটন চালুর এই উদ্যোগ। পর্যটন খাত থেকে যা আয় হবে তা দিয়ে কুমিরের খাবারের অনেকটা ব্যবস্থা হবে। বর্তমানে খামারটিতে আড়াই হাজারের মতো কুমির রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমির চাষে বছরে আয় ১৫ কোটি টাকা
Advertisement
রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুমির বিশেষজ্ঞ এনাম হক বলেন, এই কুমির খামারটিকে বিশ্বের অন্যতম খামার হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। পর্যটনের পাশাপাশি এখানে একটি রিসার্চ সেন্টারও করা হবে।
রেপটাইলস ফার্মের ব্যবস্থাপক ডা. আবু সাইম মোহাম্মদ আরিফ বলেন, পর্যটকদের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কুমির খামারটি উন্মুক্ত থাকবে। টিকিটের প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১৫০ টাকা, অপ্রাপ্তদের জন্য ১০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্ভাবনার কুমির চাষে ‘বাধা’ আইনি জটিলতা!
২০০৪ সালে ভালুকায় ১৫ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমিরের খামার রেপটাইলস ফার্ম। খামারের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন মুশতাক আহমেদ। আর ৩৬ শতাংশ মালিকানা নিয়ে সঙ্গে ছিলেন মেজবাহুল হক। ২০১২ সালে খামারের শেয়ার ছেড়ে দিলে মালিকানায় চলে আসেন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। এরপর থেকেই খামার দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ বের করে নেন তিনি।
Advertisement
২০২০ সালে সরকার পি কে হালদার ইস্যুতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করলে হুমকিতে পড়ে কুমিরের পরিচর্যা। পরে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ড. নাইম আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ছয় সদস্যের পরিচালনা বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ড ২০২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি খামারের কার্যক্রম শুরু করে।
আরও পড়ুন: ‘পি কে হালদার এমন কৌশলে ঋণ নিয়েছে, তাকে সরাসরি ধরা কঠিন’
মঞ্জুরুল ইসলাম/এমআরআর/এমএস