মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে গড়ে শিক্ষণ ক্ষতি হয়েছে ২৭ শতাংশ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগ ও অর্জন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সচিব এ তথ্য জানান। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
করোনার কারণে প্রাথমিকে কতটুকু শিক্ষণ গ্যাপ হয়েছে, সেটার কোনো মূল্যায়ন আছে কি না, জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘করোনার দুই থেকে আড়াই বছরে আমাদের শিক্ষণ গ্যাপ হয়েছে, এটি সত্য। এজন্য পিইডিপি-৪ (চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির) এর একটি কম্পোনেন্টের আওতায় এনসিটিবি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি গবেষণা করেছে। ফলাফল আমাদের সঙ্গে শেয়ারও করেছে। তারা এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে।’
তিনি বলেন, ‘ওইসময় আমরা শিক্ষণ গ্যাপ কমাতে সিএসএসআর নামে একটি প্রকল্প নিয়েছিলাম। এটি অত্যন্ত সফল প্রকল্প হিসেবে শেষ করেছি। মূল্যায়নে এসেছে, এটি ৯০ শতাংশের বেশি সফল হয়েছে। এনসিটিবি শিক্ষণ ক্ষতি নিয়ে যে স্টাডি করেছে, সেখান আমরা দেখেছি শিক্ষণ ক্ষতি গড়ে ২৭ শতাংশ, বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্ষতি হয়েছে। কোনো বিষয়ে বেশি, কোনো বিষয়ে কম, গ্রামে এক রকম, শহরে আরেক রকম। এ ক্ষতিগুলো কীভাবে কাটাবো, তা চিহ্নিত করেছি।’
Advertisement
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘দুর্যোগকালে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা করেছি। সেই কর্মপরিকল্পনার আওতায় মাস্টার ট্রেইনারদের ট্রেনিং দেওয়া শুরু করা হয়েছে। তারা প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন, যাতে দুর্যোগকালে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারি।’
জুন থেকে চালু হবে ‘স্কুল ফিডিং’প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘চলতি বছরের জুন থেকে স্কুল ফিডিং প্রকল্প চালু হবে। দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি ২০১০ সালে চালু হয়ে গত বছরের জুনে শেষ হয়। প্রকল্পটি দেশের ১০৪ উপজেলায় চালু ছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ, বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি, নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, ঝরে পড়া রোধ, যথাসময়ে শিক্ষাচক্র সমাপ্তকরণে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তাই দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।’
আরএমএম/এএএইচ/এমএস
Advertisement