দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক নাম পরিবর্তনে একটি নীতিমালা করা হয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তিত নাম গেজেট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগ ও অর্জন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেকগুলোর নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ সম্বলিত; যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিতভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অন্তরায়। এজন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তিত নামসমূহের গেজেট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে জটিলতা কাটছে
Advertisement
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিকটু, যা শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গতকাল আমি বরিশালে গিয়েছিলাম, সেখানে একটি স্কুলের নাম চরকাউয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের এলাকার একটি স্কুলের নাম মহিষ খোঁচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গফরগাঁওয়ে একটি স্কুলের নাম চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একজন শিশু যখন স্কুলে যায়- চোর কী, চোরের ভিটা কী, এ নিয়ে তার মধ্যে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, আমরা এটার ওপর কাজ করে একটা নীতিমালা গত ১৯ জানুয়ারি জারি করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে দুটি কমিটি করে দিয়েছি। কমিটির মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো আসছে। অধিদপ্তরের মাধ্যমে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নামগুলো পরিবর্তন করবো। একই সঙ্গে শ্রুতিমধুর, স্থানীয় ইতিহাস-সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই, মুক্তিযোদ্ধা বা বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে স্কুলগুলোর নাম পরিবর্তন করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘মানুষমারা’ থেকে ‘মানুষগড়া’ হলো স্কুলের নাম
সচিব আরও বলেন, আমাদের জানামতে ২০০টির মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন শ্রুতিকটু নাম রয়েছে। নাম পাওয়ার পর আমরা তা পরিবর্তন করে গেজেট করবো।
Advertisement
আরএমএম/এমকেআর/জেআইএম