আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসার দিনে অনেকেই নতুন সম্পর্ক শুরু করেন, কেউ আবার পুরোনো সম্পর্ককে রঙিন করেন নানাভাবে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পালিত হয় ভালোবাসা দিবস। ফেরুয়ারির ১৪ তারিখ দিনটি যেমন প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য বিশেষ দিন তেমনি, স্বামী-স্ত্রীর জন্যও তাই। সঙ্গীকে ফুল ও বিভিন্ন উপহার দেন এই দিনে।
Advertisement
তবে বিশ্বের অনেক দেশেই এই দিনটি পালন করা হয় না। অনেকেই মনে করেন ভালোবাসার জন্য একটি দিন নয়, বছরের প্রতিটি দিনই ভালোবাসার। এর বাইরে বিভিন্ন কারণ রয়েছে এই দিবস পালন নিষিদ্ধ হওয়ার। তবে জানেন কি? ভালোবাসার এই দিনকে জাপানে পালন করা হয় হোয়াইট ডে হিসেবে।
অন্যান্য দেশের মতো জাপানেও এ দিনটি পালন করা হয়। এ দিনে নারীরা তার পছন্দের মানুষকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারেন। সেজন্য ফুল নয় দিতে হয় চকলেট। চকলেট দিয়ে পছন্দের মানুষকে প্রেমের প্রস্তাব দেন জাপানি নারীরা। তবে সেই উত্তর পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হবে ১ মাস। অর্থাৎ সেই মানুষটি যদি রাজিও হন তাহলেও তাকে সেই কথা জানাতে হবে মার্চের ১৪ তারিখ। এ দিনই মূলত হোয়াইট ডে হিসেবে পালন হয় জাপানে। তবে যেহেতু ভালোবাসার দিনের দেওয়া প্রস্তাবের উত্তর ওই দিনে দেওয়া হয় তাই এ দিনটিও হোয়াইট ডে হিসেবে পালন করেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ভুল মানুষকে দেওয়া চুমুই হয়ে যায় বিখ্যাত
Advertisement
জাপানে নারীদের ভালোবাসা দিবসে পুরুষ বন্ধু কিংবা সহকর্মীকে চকলেট উপহার দেন। তবে পুরুষেরও সেই উপহারের বিনিময়ে রিটার্ন উপহার দিতে হয় সেই নারীকে। যদি সেই নারীর প্রতি অন্য কোনো ধরনের ইমোশন না থাকে তাহলে দিতে হবে সাদা চকলেট।
এছাড়াও আর্জেন্টিনায় ভালোবাসা দিবস উদযাপন ফেব্রুয়ারি নয় বরং জুলাই মাসে। কাছের মানুষকে চকলেট বা অন্য কোনো উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে এ দেশেও। দক্ষিণ কোরিয়ায় শুধু ১৪ ফেব্রুয়ারি নয়, এ দেশে ভালোবাসার দিন উদযাপন হয় প্রত্যেক মাসের ১৪ তারিখে। গোলাপ দিবস পালন করা হয় মে মাসে, কিস ডে জুনে এবং আলিঙ্গন দিবস এপ্রিলে।
জানেন তো? ফ্রান্সে জন্ম ভালোবাসা দিবসের। ফ্রান্সের এক ছোট্ট গ্রামের নাম ভ্যালেন্টাইন। এ গ্রামটি ১৪ ফেব্রুয়ারি সেজে ওঠে দারুণ ভাবে। প্রত্যেকটি বাড়ি গ্রিটিংস কার্ড, ভালোবাসার বার্তা, প্রেমের প্রস্তাব লেখা চিরকুটে সাজিয়ে তোলা হয়। লতা-পাতা ফুলও থাকে সেই অন্দরসজ্জায়। বাড়ির বাগানও সাজানো হয় একই ভাবে।
আরও পড়ুন: যে কারণে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল
Advertisement
ঘানায় ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি জাতীয় চকোলেট দিবস হিসেবে পালিত হয়। দেশের পর্যটন বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছিল ঘানার সরকার। এদিকে যারা ওয়াইন তৈরি করেন, বুলগেরিয়ায় তাদের নামে এ দিন উৎসর্গ করা হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি যুগলে বসে ওয়াইন খাওয়ার রীতি রয়েছে এই দেশে।
ডেনমার্কে আবার ভালোবাসা উদযাপন হয় অভিনব কায়দায়। ভালোবাসার মানুষকে এ দিন হাতে তৈরি কার্ড দেওয়া হয়। তবে তা সাধারণ কার্ড নয়। সাদা ফুল শুকিয়ে তা কাগজে ফুটিয়ে তোলা হয়। রুমানিয়ায় ভালোবাসা দিবস উদযাপন করা হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। বিভিন্ন জুটি এ দিনে বাগদান পর্ব সেরে ফেলেন। সৌভাগ্যের আশায় সাধারণত বরফে মুখ ধুয়ে নেন তারা এ দিনে।
সূত্র: সিইউ ইন্ডিপেন্টেন্ড/ জাপান ওন্ডার ট্রাভেল
কেএসকে/জেআইএম