ভালোবাসার মানুষের মন গলাতে বা তার মুখে হাসি ফোটাতে মানুষ কতো কিছুই না করে। এ ক্ষেত্রে অন্যতম একটি উপায় হলো, সুন্দর একটি প্রেমপত্র লেখা। যদিও আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে হাতে লেখা প্রেমপত্র একপ্রকার বিলীনই হয়ে গেছে।
Advertisement
এদিকে, সুন্দর সুন্দর শব্দ দিয়ে, গুছিয়ে প্রেমপত্র লেখাটা অনেকের কাছেই রীতিমতো মহাবিড়ম্বনা। তবে এবার সে বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে চলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সফটওয়্যার বা চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে।
জানা যায়, বাংলাদেশে খুব একটা ব্যবহৃত না হলেও, প্রতিবেশী দেশ ভারতে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে চ্যাটবটটি। অনেকে নাকি এরই মধ্যে ভালোবাসা দিবসের প্রেমপত্র লেখার জন্য এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি ভারতসহ ৯টি দেশের পাঁচ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালায় যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রযুক্তি সংস্থা ম্যাকাফি কর্প। ‘মডার্ন লাভ’ শীর্ষক ওই গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ৬২ শতাংশ ভারতীয় নাগরিক ভালোবাসা দিবসে মনের মতো প্রেমপত্র লিখতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন। বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
Advertisement
ওই জরিপে আরও উঠে এসেছে, গবেষণায় অংশ নেওয়া ৭৮ শতাংশ ভারতীয় উত্তরদাতারা মানবলিখিত প্রেমপত্র ও চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে লেখা প্রেমপত্রের পার্থক্য ধরতে পারেননি। তাছাড়া, ৭৩ শতাংশ ভারতীয় তাদের ডেটিং প্রোফাইল সমৃদ্ধ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রস্তুত করা তথ্য ব্যবহার করে থাকেন।
ম্যাকাফির চিফ টেকনোলজি অফিসার স্টিভ গ্রোবম্যান বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চ্যাটজিপিটির মতো ওপেন সোর্সের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এর কিছু ভয়াবহ দিকও রয়েছে। অনেকেই অসাধু উদ্দেশ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক তথ্য ব্যাবহার করছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ওপেন সোর্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজের গোপনীয়তা ও পরিচয় সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা উচিত। অপরিচিত কোনো ব্যক্তি বা পেইজের পাঠানো লিংকে ক্লিক করার আগে যাচাই করে নিতে হবে, সেগুলো কোনো স্ক্যাম কি না। কিংবা ওই লিংকে ক্লিক করা থেকে পুরোপুরি বিরত থাকতে হবে।
বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির জগতে ব্যাপক আলোচিত একটি উদ্ভাবন হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিসকো ভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) গবেষণা সংস্থা ওপেনএআইয়ের তৈরি এ চ্যাটবট এরই মধ্যে অনেকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যদিও সারাবিশ্বে এর প্রসার এখনো সেভাবে হয়ে ওঠেনি।
Advertisement
জানা যায়, চ্যাটজিপিটি এমন একটি উদ্ভাবন, যেটাতে বিশ্বের সব ধরনের তথ্য রয়েছে। অনেকের দাবি, এটি গুগলের থেকে অনেক বেশি কার্যকরী। চ্যাটজিপিটির কাছে কিছু জিজ্ঞেস করলে, এটি গুগলের মতো শুধু লিংক হাজির করে না বরং, পুরো বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরে।
এমনকি, নির্দেশদাতার মনের মতো করে লিখে দিতে পারে যেকোনো আর্টিকেল বা অ্যাসাইনমেন্ট। তাই তো অনেকে মজা কর বলছেন, ভ্যালেন্টাইন ডে অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসে প্রেমপত্র লেখে নেওয়ার একটি সহজ মাধ্যমে হতে পারে চ্যাটজিপিটি।
সূত্র: মিন্ট
এসএএইচ