একদিন আগেই দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দলের অনাগ্রহের কথা জানিয়েছিল বিএনপি। এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার কথা বলছে দলটি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
Advertisement
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই বিএনপির
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু কোনো মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, আমাদের রি-অ্যাকশন দল থেকে দেওয়া হবে। এই মিটিং (লিয়াজোঁ কমিটি) থেকে আমি রি-অ্যাকশন দিতে পারবো না। আমাদের দলের সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিষয়ে টুকু বলেন, এই বিষয়ে আমি কথা বলতে পারবো না। তবে এইটুকু বলতে পারি একনায়কতন্ত্রের দেশে অনেক সম্ভব অসম্ভব হতে পারে, আবার অনেক অসম্ভব সম্ভব হতে পারে। এটা সেই দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন: সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি
এদিকে আওয়ামী লীগের সংসদীয় সভায় নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
Advertisement
তিনি বলেন, ব্যক্তিগভাবে কে রাষ্ট্রপতি হলেন, না হলেন খুব বেশি পার্থক্য ভেরি করে না। রাষ্ট্রপতির ফাংশন ও ডিউটি ডিফারেন্ট। তিনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না এবং প্রধানমন্ত্রীর কতগুলো বিষয় আছে সব ব্যাপারে তার (প্রধানমন্ত্রী) কথা শুনতে হবে।
মান্না বলেন, এবার ঘটনাটা খুবই ন্যাক্কারজনক ও অশ্লীলভাবে হয়েছে। বোঝা গেল, প্রধানমন্ত্রীই রাষ্ট্রপতি বানান। একটা রেজ্যুলেশন নিয়ে বলা হলো যে, উনি (প্রধানমন্ত্রী) যাকে মনে করেন তাকে দেবেন। মিনিমাম যে একটা ডেকোরাম আছে, একটা ইলেকশন হয়, ভোট হয়, আরও কী হয়…সব পদদলিত করা হলো। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, একজন মানুষ কতটা স্বেচ্ছাচারী হতে পারেন। আগামী নির্বাচনে জেতার জন্যও যে এরকম কিছুই করা হবে, এখান থেকে এর একটা প্রমাণ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: সাহাবুদ্দিনের বর্ণাঢ্য জীবন
বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাম কাইয়ুম ছিলেন। বিএনপির পক্ষে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ছাড়াও দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এমকেআর/এএসএম