তিন বই না রাখার (প্রদর্শন ও বিক্রি) শর্তে অমর একুশে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে বাংলা একাডেমি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়।
Advertisement
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালতে এই আবেদন শুনানির কার্যতালিকায় রয়েছে।
আদর্শ প্রকাশনীর আইনজীবী অনিক আর হক জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির আপত্তি জানানো তিনটি বই স্টলে না রাখার (প্রদর্শন ও বিক্রি) শর্তে অমর একুশে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
Advertisement
ওইদিন ব্যারিস্টার অনিক আর হক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই তিনটি বই মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে না বলে আদালতে অঙ্গীকারনামা দাখিলের পর হাইকোর্ট অবিলম্বে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন>>তিন বই না রাখার শর্তে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দের নির্দেশ
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খশরুজ্জামান ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মনজুর নাহিদ ও অ্যাডভোকেট এস.এম রাশেদ (সানু)। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম আযাদ।
বাংলা একাডেমির আপত্তি জানানো বই তিনটি হচ্ছে- ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’, জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’।
Advertisement
গত ২ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুর রহমান।
রিটে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া কেন অবৈধ হবে না, এ বিষয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি আদর্শ প্রকাশনীকে দ্রুত স্টল বরাদ্দ দিতেও নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতিসহ চারজনকে রিটে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন>>বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে সমস্যা কোথায়
রিট আবেদনে বলা হয়, শুধু একটি বইয়ের জন্য মেলায় পুরো প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ ওই বই ব্যান্ড লিস্টেড বা কালো তালিকাভুক্ত নয়। বাংলা একাডেমি আইন-২০১৩ অনুযায়ী তাদের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো বৈধতা নেই।
এতে আরও বলা হয়, প্রতি বছর একাডেমি থেকে যে নীতিমালা করা হয়, তারও ব্যত্যয় ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তাদের এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের বাকস্বাধীনতার বিরোধী।
এফএইচ/ইএ/জিকেএস