লাইফস্টাইল

মৃগী রোগীকে তাৎক্ষণিক সাহায্য করবেন যেভাবে

মৃগী রোগ একটি অসংক্রামক দীর্ঘস্থায়ী মস্তিষ্কের রোগ। যা সব বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৬৫ মিলিয়ন মানুষ মৃগীরোগে ভুগছেন। স্নায়বিক রোগগুলির মধ্যে মৃগী রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

মৃগীরোগে আক্রান্তদের হঠাৎ খিঁচুনি হয়। খিঁচুনি হলো মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক ও অত্যধিক বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপের আকস্মিক বৃদ্ধি, যা একজন ব্যক্তির উপস্থিতি বা আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে।

আরও পড়ুন: অস্টিওআর্থ্রাইটিসের যে লক্ষণ দেখা দেয় হাতে

মৃগী রোগের প্রাথমিক লক্ষণ কী কী?

Advertisement

খিঁচুনি ধরনের উপর নির্ভর করে একজন ব্যক্তির উপসর্গ পরিবর্তিত হতে পারে। বারবার খিঁচুনি মৃগী রোগের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ। খিঁচুনি হওয়ার আরও লক্ষণগুলো হলো-

১. চেতনা হারানো২. পেশির অনিয়ন্ত্রিত গতিবিধি৩. যোগাযোগ ও বোঝার সমস্যা৪. ভয় ও উদ্বেগ৫. শ্বাসকষ্ট৬. হঠাৎ হাত কাঁপা৭. হাত থেকে জিনিস পড়ে যাওয়া৮. একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: যৌনমিলনেও ছড়াতে পারে ‘হেপাটাইটিস বি’, জানুন লক্ষণ

মৃগী রোগে আক্রান্তদের কীভাবে সাহায্য করবেন?

Advertisement

যদি কেউ খিঁচুনিতে ভোগেন তাহলে কিছু পদক্ষেপ নিলে যে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা এড়ানো যায়।

>> আক্রান্ত ব্যক্তি যেন স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে পারে তা নিশ্চিত করুন।>> মুখ উপরের দিকে উঠিয়ে রাখলে তা নামিয়ে দিন, তাহলে শ্বাস নিতে সুবিধা হবে।>> আক্রান্তের মুখে পানি, ওষুধ বা কোনো খাবার দেবেন না, প্রতিক্রিয়াহীন এ সময় খাবার গলায় আটকে তার দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: মিনি হার্ট অ্যাটাকে ১০ মিনিটেই হতে পারে মৃত্যু, জানুন লক্ষণ

>> ব্যক্তির ঝাঁকুনিপূর্ণ গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করার চেষ্টা করবেন না। >> একটি নরম তোয়ালে মাথার নিচে রাখতে হবে যাতে তারা দ্রুত অনৈচ্ছিক নড়াচড়ার সময় নিজেদের ক্ষতি না করে।

যদি কেউ একজন ব্যক্তির খিঁচুনি হতে দেখেন, তবে তিনি এ’কয়টি সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করে একটি জীবন বাঁচাতে পারেন। গুরুতর সমস্যা দেখলে দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

আরও পড়ুন: প্রস্রাবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ

আজ আন্তর্জাতিক মৃগী দিবস। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সোমবার এই দিবস পালিত হয়। এই বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে দিবসটি।

মৃগীরোগ সম্পর্কে সবার সঠিক ধারণা ও এই ব্যাধিতে আক্রান্তদের কীভাবে আরও ভালোভাবে যত্ন নেওয়া যায় সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই দিবস পালিত হয়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জেআইএম