জাতীয়

হাইটেক পার্ক নির্মাণ হলে ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক নির্মাণ হলে আগামী ১০ বছরে প্রায় ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে যা জিডিপিতে বিশেষ অবদান রাখবে।রোববার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে সামিট টেকনোপোলিস লিমিটেড প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপনা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ খান, শ্রীলংকার ইডব্লিউআইএস কলম্বোর সিইও সানজিওয়া এ. উইকরামানায়েকেসহ হাইটেক পার্কের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে প্রথমবারের মতো প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে সামিট গ্রুপ ও শ্রীলঙ্কার একটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে। সামিট টেকনোপোলিস লিমিটেডের সিগনেচার বিল্ডিং ও ম্যানুফেকচারিং বিল্ডিং এর গ্রাউন্ড ব্রেকিং করা হয়েছে। ২৩২ একর ভূমির মূল পার্কটির ২ নং ব্লকে ৬২ একর ও ৫ নং ব্লকের ২৯ একর জায়গায় সামিট টেকনোপোলিস লিমিটেডের সিগনেচার বিল্ডিং ও মেনোফেকচারিং বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ শুরুর মধ্যে দিয়ে পার্কটির যাত্রা শুরু হলো। ব্লক দুটিতে এই ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটি ২০৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন শ্রীলংকার এই বিনিয়োগকারী।  বিপুল কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের এই হাইটেক পার্কটি পৃথিবীর একটি শ্রেষ্ঠ হাইটেক পার্কে রূপান্তর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ খান বলেন, ফার্স্ট হাইটেক ম্যানুফেকচারিং ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখান থেকে ল্যাপটপ, ট্যাব ও স্মার্টফোন উৎপাদন শুরু হবে। ১৯৯৯ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের ১২তম সভায় ২৩২ একর জমিতে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ও বিস্তার ঘটানো এই পার্ক স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য।                    আমিনুল ইসলাম/এসএস/পিআর

Advertisement