ধর্ম

আল্লাহর হুকুমের অবাধ্যতায় চেহারার পরিবর্তন

হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের যুগে সাপ্তাহিক ইবাদাত-বন্দেগির জন্য নির্ধারিত দিন ছিল শনিবার। এ দিন মৎস শিকার নিষিদ্ধ ছিল। মৎস শিকার করা ছিল তাদের পেশা। আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে তারা মৎস শিকার করে। যার পরিণতিতে তাদের চেহারা বানরের চেহারায় পরিবর্তন হয়ে যায়। সে কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন-তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও। অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৬৫-৬৬)এ আয়াতদ্বয়ের ব্যাখ্যায় তাফসির কারকগণ বলেন, ইয়াহুদিরা প্রথম কলাকৌশলের অন্তরালে এবং পরে সাধারণ পদ্ধতিতে ব্যাপকভাবে মৎস্য শিকার করতে থাকে। এতে তারা দুই দলে বিভক্ত হয়ে যায়। এক দল ছিল সৎ ও বিজ্ঞ লোক। তারা এ অপকর্মে বাধা দিলেন। তাতে প্রতিপক্ষ বিরত হলো না। অবশেষে সৎ ব্যক্তিরা অবাধ্যদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। এমনকি তারা বাসস্থানও দুইভাগ করে নেয়। একাংশে বসবাস করে অবাধ্যরা। অপরাংশে সৎ এবং বিজ্ঞজনেরা বসবাস করে।একদিন তারা লক্ষ্য করলেন যে, অবাধ্যদের বসতিতে অস্বাভাবিক নিরবতা। তারা সেখানে গিয়ে দেখলেন, সবাই বিকৃত হয়ে বানরে পরিণত হয়েছে। হজরত কাতাদাহ বলেন, অবাধ্যদের যুবকরা বানরের আর বৃদ্ধরা শুকরের পরিণত হয়ে গেছে। রূপান্তরিত বানররা তাদের নিজ নিজ আত্মীয় স্বজনদের চিনত এবং তাদের কাছে এসে অঝোরে অশ্রু বিসর্জন করতো। (কুরতুবী, মারেফুল কুরআন, জালালাইন)আয়াতের শিক্ষাক. অবাধ্যদের জন্য এ আয়াতটি অবাধ্যতা থেকে তাওবা করে ফিরে আসার উপকরণ স্বরূপ।খ. আনুগত্যদের জন্য এ আয়াত আনুগত্যের উপর অটল থাকার জন্য উপদেশপ্রদ ঘটনা।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালন এবং তাঁর অবাধ্য হওয়া থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। সৎ ও নেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি

Advertisement