গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে, কমেছে তার তিনগুণের বেশি। এতে প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে বাজার মূলধন। এক সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা কমেছে।
Advertisement
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২৮৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পাইপলাইনে পড়ে আছে ৪৫ বিলিয়ন ডলার
এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৮টির। আর ২০০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
Advertisement
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১১ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ৪ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: কোম্পানি মানছে না এলপিজির নির্ধারিত দাম
ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক বাড়লেও প্রধান মূল্যসূচকের মতো টানা দুই সপ্তাহ কমেছে ইসলামি শরিয়াহভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
প্রধান মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৬৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮০ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।
Advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বড় পরিসরে জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২৪৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৮৩৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৪০৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২৭ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮৭ কোটি ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। ১৯৫ কোটি ৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাহিনপুকুর সিরামিকস।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইস্টার্ন হাউজিং, আমরা নেটওয়ার্ক, জেমিনি সি ফুড এবং বসুন্ধরা পেপার।
এমএএস/জেডএইচ/জিকেএস