তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর দেখা গেছে, দেশ দুইটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। ঘটনার চারদিন পরও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। খবর আল-জাজিরার।
Advertisement
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু তুরস্কেই মারা গেছে ১৮ হাজার ৯৯১ জন, যা ১৯৯১ সালের ভূমিকম্পে মারা যাওয়া সাড়ে ১৭ হাজারের তুলনায় বেশি।
অন্যদিকে ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া একই পরিবারের ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কর্মীরা তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ইস্কেন্ডারানে ধসে পড়া একটি ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা ধসে পড়া কাঠামোর মধ্যে ছোট এক জায়গায় একসঙ্গে আবদ্ধ ছিল। মুরাত বায়গুল নামের এক উদ্ধারকর্মী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
তাছাড়া ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে ২২ মেট্রিক টন ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে পাকিস্তান। একটি কার্গো প্লেনে এসব ত্রাণ পাঠানো হয়। এখনো তুরস্কজুড়ে পরিচালনা করা হচ্ছে উদ্ধার অভিযান। জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে অনেককে। খবর সিএনএনের।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য ২০ মেট্রিক টন ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হলো। আকাশ, ভূমি ও সমুদ্র তিন পথেই তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে পাকিস্তানের।
এমএসএম
Advertisement