ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রাসেলস সফরে ইউরোপীয় নেতাদের কাছ থেকে অভাবনীয় সম্মান পেলেও যুদ্ধবিমান পাওয়ার নিশ্চয়তা আদায় করতে পারেননি। ইউক্রেনকে দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য করতে যে অনুরোধ তিনি জানিয়েছেন, তাতেও খুব আশাব্যঞ্জক কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
Advertisement
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দেশ ছেড়ে বেরোলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। গত বছর ওয়াশিংটন সফরের পর এবার তিনি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স হয়ে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। সফরকালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন>> ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠিয়ে কি ঠিক করলো ন্যাটো সদস্যরা?
এসময় ইউক্রেনে আরও উন্নত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর অনুরোধ জানান তিনি। জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের বলেন, তিনি খালি হাতে ফিরে যেতে আসেননি। অস্ত্রের পাশাপাশি ইউক্রেনকে দ্রুত ইইউর সদস্য করার স্বপ্ন পূরণ করতে আরও ইতিবাচক সাড়া চান তিনি।
Advertisement
পুরো সফরজুড়ে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে যথেষ্ট সম্মান ও গুরুত্ব দিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ইউরোপীয় সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রো বিমানবন্দরে স্বাগত জানান জেলেনস্কিকে। ভাষণের সময় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা বেশ কয়েকবার দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাকে সম্মানও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন>> দুর্নীতিতে জর্জরিত ইউক্রেন সরকারে পদত্যাগের হিড়িক
তবে উৎসাহ, সম্মান, সংহতি, প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি জেলেনস্কি দ্রুত বাস্তব পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে, যত দ্রুত সম্ভব আধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়েছেন তিনি। জেলেনস্কির দাবি, ‘আধুনিক যুগের সবচেয়ে ইউরোপ-বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার লড়াই’ করছে ইউক্রেনীয়রা।
President Zelenskyy tells the European Parliament that Ukraine and the EU are fighting together against Russia, which is "the most anti-European force" in the world.https://t.co/5AoRh0mNTP
Advertisement
রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের যে আরও অস্ত্র-গোলাবারুদ প্রয়োজন, সে বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্ব জানে। কিন্তু অনেক সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সময় লাগছে। তাছাড়া, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির আশঙ্কায় ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রশ্নে দ্বিধায় ভুগছেন অনেক নেতা।
আরও পড়ুন>> ‘পশ্চিমাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই আরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে’
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড হেগার এক টুইটে জানিয়েছেন, জেলেনস্কির অনুরোধের ভিত্তিতে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করবেন তারা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ যুদ্ধবিমান পাঠানোর সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে না দিলেও সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, তারা ইউক্রেনের বিজয় নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত সহায়তা চালিয়ে যাবেন।
সূত্র: ডয়েচে ভেলেকেএএ/