লাইফস্টাইল

শরীরে যে ৫ লক্ষণ দেখা দিলেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে

শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতা ও লক্ষণ বেশিরভাগ মানুষই প্রথমদিকে অবহেলা করেন। পরবর্তী সময়ে তা কঠিন ব্যাধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

Advertisement

শুধু বয়স্করাই নন, কমবয়সীরাও এখন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করছে। যে কোনো কারণে শরীরে হৃদরোগ হানা দিতে পারে। হঠাৎ একদিন বুকে চিনচিনে ব্যথা দিয়ে শুরু কিংবা শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ থেকে হার্ট অ্যাটাকের কবলে ঢলে পড়া।

আরও পড়ুন: মাড়ির যে সমস্যা হৃদরোগের ইঙ্গিত দেয়

হৃদরোগের লক্ষণ কিন্তু বোঝা সহজ নয়। বেশিরভাগ মানুষই হৃদরোগের উপসর্গকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে ভুল করেন। ফলে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছাতে অনেকটা দেরি হয়ে যায় ও মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগের ক্ষেত্রে মূলত ৫ ধরনের সমস্য দেখা দিলেই সময় অপচয় না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জেনে রাখুন কোন কোন লক্ষণ দেখলে দ্রুত হাসপাতালে যাবেন

ব্যথা

চলাফেরার সময় বুকে কোনো ধরনের চাপ বা অস্বস্তি হচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন। অনেকের ক্ষেত্রে বুকে চিনচিনে ব্যথা থেকে জ্বালাও হয়। তেমনটি হলেও সাবধান হতে হবে।

আরও পড়ুন: ত্বক-নখ ও চোখে কোলেস্টেরলের গুরুতর যে লক্ষণ ফুটে ওঠে

Advertisement

হার্ট দুর্বল হলে ব্যথা শুধু হৃদযন্ত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে না। হাঁটাহাঁটির সময়ে চোয়াল বা হাতেও ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাধারণত চলাফেরা করলে এই ব্যথা জানান দেয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে বিশ্রামের সময়ও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট

হঠাৎ যদি শ্বাস নিতে সমস্যা হয় বা বুকের ভেতর অস্বস্তি হয় কিংবা হৃদস্পন্দনের হার হঠাৎ বেড়ে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হন। এটি কিন্তু হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার লক্ষণ। কোনো কারণ ছাড়াই হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে গেলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে ধমনী ও রক্তনালিকাগুলোতে মেদ জমে। ফলে হৃদযন্ত্রে রক্ত পৌঁছাতে পারে না। এতেই বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুন: পায়ে ব্যথা ও চুলকানি হতে পারে কঠিন যে রোগের লক্ষণ

ক্রনিক অসুখ

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড ও বাড়তি ওজনের মতো সমস্যাগুলোও হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়ায়। এসব রোগীর বছরে অন্তত একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করানো উচিত।

অতিরিক্ত ধূমপান

ধূমপান করলে কেবল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে না, এই অভ্যাস হৃদরোগেরও ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এই অভ্যাস থাকলে বছরে অন্তত একবার হার্টের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করুন। বিশেষ করে ধূমপানের পরপেই শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সতর্ক হন।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

জেএমএস/এমএস