রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রাণবন্ত একজন মানুষ। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে সফল। দক্ষতার সঙ্গে তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এ ভাষণটাই বোধহয় তার শেষ ভাষণ। কারণ আমাদের সংবিধান অনুযায়ী কেউ পরপর দুইবারের বেশি রাষ্ট্রপতি থাকতে পারেন না।’
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেওয়া ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি শুরু করেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি অত্যন্ত প্রাণবন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার সময়ে শেষপর্যায়ে চলে এসেছেন এবং ভাষণ দিয়ে গেছেন। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবেও তিনি জাতীয় সংসদকে প্রাণবন্ত রেখেছিলেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।’
Advertisement
আরও পড়ুন>> উপ-নির্বাচনে প্রমাণ হলো আ’লীগের আমলে ভোট সুষ্ঠু হয়: প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করেছে। এটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই একটা সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে দিয়েছে। যারা আগে মনে করতেন, বাংলাদেশ কোনো দিন ওঠে দাঁড়াতে পারবে না। পঁচাত্তরের পর যারা এসেছিলেন, তাদের সে প্রচেষ্টাই ছিল। আজকে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে। আমরা যে পারি, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’
সবক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা চালু করা হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন দলিল-পরচা ঘরে বসে নেওয়া যায়। যে কোনো বিল ঘরে বসে পরিশোধ করা যায়। দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে সরকার সব করে যাচ্ছে।’
ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে...সংসদে এদিন ঢাকার বায়দূষণ নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহর অত্যন্ত ছোট। অনেক জনসংখ্যা। প্রচুর গাড়ি চলাচল করে রাস্তায়। যার কারণে বায়ু ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা যারা বলি ঢাকা খারাপ, বসবাসের উপযোগী না.. তারা তো ঢাকায় বাস করি। ঢাকা থেকে তো কেউ বাইরে যান না।’
Advertisement
আরও পড়ুন: নতুন বছরে একদিনও বিশুদ্ধ বাতাস পায়নি ঢাকাবাসী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার বাইরে পরিবেশ অনেক পরিশুদ্ধ। কিন্তু তারপরও ঢাকায় তো আমাদের থাকতেই হবে। ঢাকাকে আমরা গালিও দেবো, আবার থাকবো, এটা কেমন কথা? এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘তারপরও আমাদের প্রচেষ্টার অন্ত নেই। ঢাকার অনেক খাল ও ঝিল ছিল। সেগুলো আইয়ুব খান, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া নষ্ট করেছে।’
তুরস্ক-সিরিয়ায় সহায়তা যাচ্ছেভূমিকম্পে মানবিক বিপর্যয়ে পড়া তুরস্ক ও সিরিয়ায় বাংলাদেশ সাধ্যমতো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। তবে আমাদের হৃদয়টা অনেক বড়। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় সহায়তার জন্য বাংলাদেশ থেকে মেডিকেল টিম, ওষুধ, শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছে। সাধ্যমতো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি আমরা।’
এইচএস/এএএইচ/জিকেএস