জাতীয়

২০২২ সালে দুর্ঘটনায় ২২৯ মৃত্যু, বেশি মোটরসাইকেলে

দেশের মহাসড়কের এলাকাভিত্তিক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ২০২২ সালে টাঙ্গাইলে নিহত হয় ৯৪ জন ও গাজীপুরে ১৩৫ জন। দুই জেলায় মোট ২২৯ জন নিহত হন। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

তাদের পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হন। আহত হন ১৮৬ জন। এর মধ্যে ৪৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ৭৮ জন। ৫৪ জন অটোরিকশা যাত্রী এবং ৪৮ জন পথচারী এসব দুর্ঘটনায় নিহত হন।

মহাসড়কের এলাকাভিত্তিক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, টাঙ্গাইল জেলায় বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্বরে এক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত, ১৭ জন আহত, ভূঞাপুরে পাঁচটি দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, অিাটজন আহত, কালিহাতীতে ২৭টি দুর্ঘটনায় ৪২ জন নিহত, ৭৯ জন আহত, রাবনা বাইপাসে চারটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, ছয়জন আহত, মির্জাপুরে ১৫টি দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন।

গাজীপুর জেলায়-জয়দেবপুরে ৮টি দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত, ৮ জন আহত, গাজীপুর সদরে ১২টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত, ৩ জন আহত, শ্রীপুরে ৯টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত, চন্দ্রায় ১টি দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত, কালিয়াকৈরে ২৩টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত, ১৮ জন আহত, কোনাবাড়িতে ১টি দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত, গাছায় ৫টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ২ জন আহত, রাজেন্দ্রপুরে ২টি দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত, টঙ্গীতে ১৫টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, ৩ জন আহত, চন্দনায় ১টি দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত, কড্ডায় ২টি দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত, ৩জন আহত ও ফ্লাইওভারের উপরে ২টি দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ১ জন আহত হয়।

Advertisement

দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্যঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার পরও দুর্ঘটনা ও হতাহত কমছে না। এর কারণ মহাসড়কে দ্রুতগতির ভারী যানবাহনের পাশাপাশি হালকা ও অল্পগতির অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, প্যাডেলরিকশা ইত্যাদি চলাচল। এছাড়া মহাসড়কের যেকোনো স্থানে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। যানবাহনের বেপরোয়া গতিও দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে কাজ করছে।

এ পরিস্থিতিতে মহাসড়কটিতে দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচলে সার্ভিস রোড নিশ্চিত করতে হবে, মহাসড়কে স্পিড ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে।

মহাসড়কের কালিহাতী, মির্জাপুর, শ্রীপুর, টঙ্গী এবং গাজীপুর সদর- এ স্থানগুলো অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে। এসব স্থানে দুর্ঘটনারোধে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি ভিত্তিতে নিতে হবে।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম

Advertisement