সিরাজগঞ্জে বেড়েছে কার্পাস তুলার চাষ। চলতি মৌসুমে ৫০০ হেক্টর জমিতে অন্তত এক হাজার ৪০০ কৃষক তুলা চাষ করে পেয়েছেন বাম্পার ফলন।
Advertisement
তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলায় গত বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ২৬০ মেট্রিক টন। তা এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টনে। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। এ হারে কৃষকের আয় হবে মোট মূল্যের ৭০ ভাগ। জেলার রায়গঞ্জ, সদর, কামারখন্দ ও আংশিক উল্লাপাড়া উপজেলায় এ কার্পাস তুলা চাষ হচ্ছে।
বগুড়া আঞ্চলিক তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে ধান কেনার নির্দেশ
Advertisement
তিনি বলেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগীতায় সিরাজগঞ্জের চার উপজেলার প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা এবার তুলা চাষ করছেন। এতে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। প্রথমদিকে তাদের আগ্রহ কম থাকলেও এখন তা বাড়ছে।
রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের বারইভাগ এলাকার তুলা চাষি সাইফুল ইসলাম (৬৫) বলেন, গত মৌসুমে এক বিঘা জমিতে নিজের শ্রম বাদে তুলা চাষে খরচ হয়েছিল ৫-৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে উৎপাদিত তুলা বিক্রি হয়েছিল ৪০ হাজার টাকায়। এবার আমি দুই বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। তবে এবার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ১ লাখ ১০-২০ হাজার টাকার তুলা বিক্রি করতে পারবো।
আরও পড়ুন: বিয়ের দাবিতে বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা নারী, প্রেমিক উধাও
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের তুলা চাষি মোকাদ্দেস ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, অন্য ফসল উৎপাদনে ব্যয় ও ঝুঁকি বেশি হলেও কার্পাস তুলা চাষে খরচ কয়েকগুণ কম। আমি সরকারিভাবে বীজ, সার ও ওষুধ পেয়ে চলতি মৌসুমে ৩৫ শতক জমিতে কার্পাস তুলা চাষ করেছি।
Advertisement
রায়গঞ্জ উপজেলার কটন ইউনিট কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, প্রান্তিক কৃষকেরা খরচ কম হওয়ায় কার্পাস তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আগামীতে তুলা চাষে এ এলাকার কৃষকের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: ভৈরবে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামিনুর ইসলাম (শামীম) জাগো নিউজকে বলেন, পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্যের পরই বস্ত্রের স্থান। আর এ বস্ত্রের ৭০ ভাগ আসে তুলা থেকে। তাই তুলা চাষ কৃষি অফিসের আওতায় না হলেও সরকারের উন্নয়নে সহযোগিতা করার মনোভাব নিয়ে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
এম এ মালেক/জেএস/এমএস