গাজীপুরে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মহাসড়কে লাঠি দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন। পুলিশের দাবি আটকরা শিবিরের নেতাকর্মী।
Advertisement
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেফতার করার পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন মেহেদী হাসান (২৬), আমিরুল ইসলাম আফনান (১৮), আব্দুল হালিমের ছেলে জায়েদ (১৯), মেহেদী হাসান (১৯), মোবাশ্বির ইমাম (১৯), রাজু খান (১৮), মুজাহিদ হাসান (১৮), খালেদ বিন হোসাইন (১৯), মেহেদি হাসান (১৯), জিন্নাহ (১৯), জোবায়ের হোসেন (১৮), রাইসুল ইসলাম (১৯), সাদেকুল ইসলাম (১৮), আতাউল্লাহ আফফান (১৮), ইয়াসিন আরাফাত (১৮), তাওহীদ (১৬), রকিব (১৬), নাঈম হোসেন (১৬), আলী আজগর (১৬) এবং মজিবুর রহমান (২৫)। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমি এখন শিবির নয় আওয়ামী লীগ করি, তোকে মেরেই ফেলব
Advertisement
জিএমপির উপ-কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে খবর পাওয়া যায়, ভোগড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে লাঠি দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরির জন্য জামায়াত-শিবিরের একদল নেতাকর্মী সমবেত হয়েছেন। তারা জামায়েতের আমিরসহ ও শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ইস্যুকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্কের চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতাকে শিবির বানিয়ে গ্রেফতার করালেন এমপি
তিনি আরও জানান, এসময় সেখানে বাসন থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে শিবিরের ১৯ নেতাকর্মীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছ থেকে ১৪টি বাঁশের লাঠি, ২৫টি ইটের টুকরা, লাল স্কচটেপে মোড়ানো অবিস্ফোরিত পাঁচটি ককটেল, ১৫ টুকরা গাড়ির ভাঙা কাচের অংশ, পাঁচ টুকরা বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাসন থানাধীন নলজানী গ্রেটওয়াল সিটি সাকিনস্থ আ. আউয়ালের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার রুম তল্লাশি চালিয়ে চারটি ব্যক্তিগত রিপোর্ট বই, একটি মলাটযুক্ত বইসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী বই জব্দ করা হয়।
জেডএইচ/
Advertisement