খেলাধুলা

দেশি নয়, সহকারী কোচও হবেন বিদেশি!

এতদিন জানা ছিল, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রধান কোচের সহকারী থাকবেন বাংলাদেশ থেকে। এমনকি বিসিবি সভাপতির কণ্ঠেই ছিল এমন ইঙ্গিত।

Advertisement

তাই সবাই ধরে বসেছিলেন, অবশেষে দেশের কোন কোচই হবেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সহকারী এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই হয়ত জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করবেন বাংলাদেশের কেউ।

মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, সোহেল ইসলামের কেউ একজন হতে পারেন সম্ভাব্য বিকল্প। ক্রিকেট পাড়ার সবাই যখন এমন চিন্তায় বিভোর, ঠিক তখন নতুন কথা শোনালেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।

তার কণ্ঠে অন্য আভাস। দেশের কেউ না, বিদেশ থেকে সহকারী কোচ খুঁজছে বিসিবি। আর তাই বিসিবি বিগ বসের কন্ঠে এমন কথা, ‘আসলে আমরা এখন পর্যন্ত যেটা করেছি, সেটা হচ্ছে- আমরা আপাতত খুঁজছি একজন বিদেশি কোচ সহকারী হিসেবে বা ওই ধরনের কিছু একটা।’

Advertisement

সেটা কি কারণে? বোর্ড সভাপতি ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, আগামী দিনগুলোয় মানে সামনে অনেক খেলা। একা হেড কোচের জন্য সব সামলানো খুব কঠিন। তাই তারা সহকরি কোচ হিসেবে এমন কাউকে রাখতে চান যার সঙ্গে হেড কোচ পরামর্শ করতে পারবেন।

‘যে পরিমাণ খেলা একজনের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না। আরেকজন যদি থাকে, তাহলে হবে কি, যে হেড কোচ তার সঙ্গে আরেকজন থাকলে চিন্তা -ভাবনা, পরিকল্পনা, এসবকিছু একটা মিল থাকবে। এজন্য একটা সমন্বয় রাখার জন্য আমরা এটা চিন্তা করেছি, একটা বিদেশি কোচ খুঁজছি। এটা নিয়েই আমরা কথা বলছি। আশা করছি সিরিজের আগেই একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো।’

তবে বিসিবি স্থানীয় কোচদের আগামীর জন্য তৈরির কথাও ভাবছে। এমন চিন্তা থেকেই বিসিবি সভাপতির কথা, ‘আমাদের আরেকটা পরিকল্পনা হচ্ছে যে দেশীয় কিছু কোচকে আমরা অ্যাপ্রোচ করবো, যদি তারা আগ্রহী থাকে, তাহলে আমাদের যদি কোচিং প্যানেলের সঙ্গে যুক্ত হয়। তাহলে সামনে কয়েক বছর পর এরাও দায়িত্ব নিতে হবে।’

ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন, হাথুরুসিংহে দল নির্বাচনে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন। আসলেও কি তিনি নির্বাচক কমিটির চতুর্থ সদস্য থাকবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এখন আমাদের যেভাবে চলছে ঠিক সেভাবেই চলবে। আগে পরে নিয়ে কিছু না। হাথুরু আসার আগ পর্যন্ত যে নিয়মে চলছে, সে নিয়মেই চলবে।’

Advertisement

‘পরামর্শ তো সবসময়ই করা হয়। অধিনায়কদের সঙ্গেও কথা না বলে কোনো দল দেওয়া হয় না। হাথুরুর ইনপুট এখন পাওয়ার সম্ভাবনা একটু কম। কারণ সে হয়তো সেভাবে খেলাগুলো দেখছে না। হয়তো সামনে খেলা দেখে সে হয়তো প্রপোজ করবে। বেসিক্যালি এখানে যেটা হবে, সিলেক্টররা একটা দল তৈরি করে, তারপর অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে। কোচের সাথেও কথা বলে। তাদের যদি কোনো পরামর্শ থাকে তখন তারা চেষ্টা করে সেটি ইনকর্পোরেট করতে। একটা কি দুইটা প্লেয়ার হয়তো এদিক-সেদিক হয় বা চেঞ্জ হয়। এছাড়া কিছু না। তবে সেরা একাদশ অধিনায়কই করবে। ওখানে কারও কিছু করার নেই।’

মোটকথা, আগের সিস্টেমে থকবে না। তবে দল নির্বাচনের সময় কোচ-ক্যাপ্টেনের পরামর্শ নেয়াই হয়। আগামীতেও নেয়া হবে।

এদিকে ক্রিকেট পাড়ায় আরও একটি সুপ্ত গুঞ্জন আছে। তাহলো, সাকিব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট নাও খেলতে পারেন। কারণ, ওই টেস্ট যখন শুরু হবে তখন আইপিএল শুরু হয়ে যাবে। কারো নাম না বলে পাপন জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দেশের খেলা বড়। দেশের খেলাই খেলতে হবে।’

এআরবি/আইএইচএস