দেশজুড়ে

অসহায় রোগী ফোন দিলেই পৌঁছে যাবে উপহারের গাড়িটি: হিরো আলম

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মাওলানা এম মোখলিছুর রহমানের কাছ থেকে পাওয়া গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম।

Advertisement

তিনি বলেন, অনেক গরিব, অসহায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকেন। চিকিৎসা করানোর সুযোগ থাকে না। হাসপাতালে নিতে পারেন না। তাদের সেবার জন্য গাড়িটি ব্যবহৃত হবে। গাড়িতে নম্বর থাকবে। কেউ ফোন দিলেই দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে।

আরও পড়ুন: শিক্ষক থেকে পাওয়া গাড়ি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য দিলেন হিরো আলম

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অধ্যক্ষ মোখলিছুরের বাড়িতে গাড়ি হস্তান্তরের আয়োজন করা হয়। কয়েকশ মানুষের সামনে গাড়িটি হিরো আলমকে বুঝিয়ে দেন তিনি।

Advertisement

এ সময় হিরো আলম বলেন, শিক্ষক মোখলিছুর আমার ভাই। আমাকে একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন। আমি ব্যস্ত থাকার কারণে আসতে বিলম্ব হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই আমাকে বলেছেন কেউ উপহার দিলে তা গ্রহণ করতে হয়। আমি গাড়িটি গ্রহণ করেছি। কিন্তু এটির অবস্থা বেশি ভালো নয়। তবে যেমনই হোক, অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে দান করে দিলাম।

চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুল জব্বার একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এম মোখলিছুর রহমান বলেন, হিরো আলম আমার ভাই। বগুড়ার অনেক আলেম তার পক্ষে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তাদের দেখেই তার প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মায়। আমিও সিদ্ধান্ত নেই সিলেট থেকে তাকে যদি আমার গাড়িটি উপহার হিসেবে দিতে পারি তবে বগুড়াবাসী ভোট দিতে হয়তো আরও উদ্বুদ্ধ হবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনেকেই প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে। কিন্তু আমি এটি প্রমাণ করেছি সিলেটবাসীর মন এত ছোট নয়। আমার পরিবারও উদ্বুদ্ধ করছে যেন আমি গাড়িটি দ্রুত দিয়ে দিই। আমার সন্তানরা বলছে আমি যে ওয়াদা দিয়েছি সেটি দ্রুত পূরণ করতে। গাড়িটি তাকে উপহার হিসেবে দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’

আরও পড়ুন: উপহারের গাড়ি নিতে গিয়ে জরিমানা গুনলেন হিরো আলম

Advertisement

মোখলিছুর বলেন, গাড়িটি ২০১৮ সালে সাড়ে ৫ লাখ টাকায় কিনেছিলাম। কিন্তু গাড়িটির কাগজপত্র ২০১৩ সাল থেকে আপডেট করা হয়নি। এখন সেটি আপডেট করতে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লাগতে পারে।

এদিকে গাড়ি হস্তান্তর উপলক্ষে সকাল থেকেই মাওলানা এম মোখলিছুর রহমানের বাড়িতে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়। গাড়িটিও সাজানো হয়। তৈরি করা হয় একটি মঞ্চ। শতাধিক চেয়ার সাজানো হয়। মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দেয়।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসজে/এমএস