আন্তর্জাতিক

আল-আকসায় গায়েবানা জানাজা

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে আল-আকসা মসজিদে গায়েবানা জানাজা আদায় করেছেন ফিলিস্তিনিরা। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদটিতে নামাজ পড়েছেন কয়েকশ মুসল্লি। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement

এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলিদের অবৈধ দখলে থাকা পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের গায়েবানা জানাজা পড়ার ভিডিও। এতে দেখা যায়, বহু মুসল্লি একসঙ্গে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন।

Watch: Palestinians perform funeral prayer at Jerusalem’s Al-Aqsa Mosque today for the victims of the massive earthquake in Turkey and Syria. At least 1,014 deaths were reported in Turkey, while 582 people died in Syria. pic.twitter.com/rPJ0OkQ78F

— Quds News Network (@QudsNen) February 6, 2023

এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে মানুষজন ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রলয়ংকরী এক ভূমিকম্প। বলা হচ্ছে, গত এক শতাব্দীর মধ্যে ওই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

Advertisement

আরও পড়ুন>> মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে, শঙ্কা ডব্লিউএইচওর

ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস থেকে ৬৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। এতে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাঁড়িয়েছে। কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ৩ হাজার ৪১৯ জন। তুর্কি ভাইস-প্রেসিডেন্টের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এছাড়া সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১ জন।

আরও পড়ুন>> ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক লাশ

Advertisement

তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের প্রধান জানিয়েছেন, ভয়াবহ ভূমিকম্পটিতে অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার ভবন ধসে পড়েছে। এছাড়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও কয়েক হাজার ভবন।

তবে বাজে আবহাওয়ার কারণে তুরস্কে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় বিমানবন্দরের রানওয়েগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সহায়তা পৌঁছাতেও বিলম্ব হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> ধসে পড়া ভবন থেকে জীবিত উদ্ধার ছোট্ট শিশু

ধসে পড়া ভবনগুলোর নিচে এখনো বহু মানুষ আটকা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য জাতিসংঘের সব সদস্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া লোকদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেএএ/