ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই আলদা উত্তেজনা। দুই দেশের মাঝেই শুধু সীমাবদ্ধ থাকে না, এর রোমাঞ্চ ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বেই। বাংলাদেশের দর্শকদের মাঝেও এ ম্যাচ নিয়ে চলছে তুমুল আয়োজন। উৎসব আমেজে ম্যাচটি দেখতে মিরপুরের শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসেছেন দর্শকরা।শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হবে এশিয়া কাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটি। গেট খুলে দেয়ার কথা বিকাল সাড়ে ৫টায়। অথচ দেখা গেলো গ্যালারিতে ঢুকতে দুপুর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রিকট ভক্তরা। তবে শুধু বাংলাদেশের দর্শকই নয়। ভারত ও পাকিস্তান থেকেও এসেছেন অনেক দর্শক।ভারতের চণ্ডীগড় থেকে এসেছেন রামবাবু। সারা শরীরে মেখেছেন ভারতের পতাকার প্রতিকৃতি, তেরঙ্গা। আর তাতে লিখেছেন প্রিয় খেলোয়াড় ধোনির নাম। আজকের ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আজকে ভারত জয়লাভ করবে। এর আগে আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশে এসেছিলাম। সেবারও জয় নইয়ে দেশে ফিরেছিলাম। এবারও যাবো।’বরাবরের মত এদিনও স্টেডিয়ামের আশে-পাশে গড়ে উঠেছে ভাসমান বেশকিছু দোকান। ভারতের পতাকা, জার্সি, ব্যান্ড, টুপি, ব্রেসলেট জাতীয় দ্রব্যসহ নানা রকম পণ্য বিক্রয় করছেন তারা। তবে কোথাও দেখা যায়নি পাকিস্তানের কোন পতাকা। এমনই এক পতাকা বিক্রেতাকে পাকিস্তানের পতাকা নেই কেন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ভারতের পতাকাই আছে, নিতে চাইলে নেন। আর পাকিস্তানের নাই, কারণ এটা কেউ কেনার সাহস পায় না।’ তবে অনেকেই রঙ দিয়ে পাকিস্তানের পতাকা শরীরের এঁকে নিয়েছেন।ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকেও এসেছেন তিন যুবক জিতেন্দ্র রায়, নরেশ চান ও রায়ধিরাজ। মহাত্মা গান্ধী ফাইন আর্টস কলেজের ছাত্র। প্রথমবারের মত বাংলাদেশে এসেছেন তারা। আজকের ম্যাচ নিয়ে এ তিন ভারতীয় জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভারত আজকে ভালো খেলেই জিতবে। তিনবন্ধু যখন এসেছি আমরাই জিতবো।’এছাড়াও বেশ কয়েকজন পাকিস্তানিও ছিলেন সেখানে। তবে মিডিয়াতে কোন কথা বলতে রাজী নন তারা। ঢাকার টঙ্গী থেকে রুবেল ও শর্মি নামে এক যুগল এসেছেন পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ দেখতে। তারা আজকের ম্যাচে পাকিস্তানকে সমর্থন দেবেন। এ নিয়ে জাগোনিউজকে তারা বলেন, ‘আমরা মূলতঃ একটু ঘুরতে এসেছি। ব্যবসার কাজে তেমন সময় পাই না। আজকে আসলাম খেলা দেখতে। আর খেলা দেখলে তো এক দলকে সমর্থন করতেই হবে। আমরা পাকিস্তানকে সমর্থন দিব।’আরটি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement