তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮০০ জনে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান ৭ দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া এবার জাতিসংঘের কাছে ভূমিকম্পের জন্য সহায়তা চাইছে।
Advertisement
সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূ-কম্পন, তারপর ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এবং বেশ কয়েকটি আফটারশকে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সিরিয়ার একটি অঞ্চল। ১২ বছরের গৃহযুদ্ধের শিকার সিরিয়ায় আবারও দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। এখনও ধ্বংসস্তূপে চলছে উদ্ধার কাজ। নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে স্বজনদের আহাজারি যেন থামছেই না।
আরও পড়ুন> দ্য ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণ/ভূমিকম্পে কেন মৃত্যুপুরী তুরস্ক-সিরিয়া?
তীব্র ঠান্ডার মধ্যে উদ্ধারকারীরা মঙ্গলবারও অনুসন্ধান চালাচ্ছে তুরস্কের বিধ্বস্ত অন্তত ১০টি শহরে। আটকে পড়া লোকজনদের অনেকে ধ্বংসস্তূপের পাহাড়ের নীচে থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে, এমন খবরও মিলছে।
Advertisement
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) এক কর্মকর্তা ওরহান তাতার মঙ্গলবার সকালে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮১ বলে জানান। তিনি আরও জানান, আহত হয়েছেন আরও ২০ হাজার ৪২৬ জন। তাতার জানান, পাঁচ হাজার ৭০০টিরও বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে।
সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১ হাজার চারশ ৪৪ জন। আহত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৫০০ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও উদ্ধারকারী হোয়াইট হেলমেট টিম জানিয়েছে এ তথ্য।
আরও পড়ুন>তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প/সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন উদ্ধারকারীরা
শীতকালীন আবহাওয়া ও বিধ্বস্ত অঞ্চলে তুষারপাতের কারণে ভূমিকম্পে আহত ও গৃহহীন হয়ে পড়া হাজার হাজার মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে উদ্ধার কার্যক্রম।
Advertisement
সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে, যখন দেশটির প্রায় সব মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, তুরস্ক, সিরিয়া, সাইপ্রাস, লেবানন, ইসরায়েল ও মিশরেও অনুভূত হয় ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পনসহ শতাধিক আফটারশক আঘাত হানে তুরস্কে। এসব আফটারশকের ধারাবাহিকতা ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল।
সূত্র: আল-জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমস
এসএনআর