ফরিদপুরে দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার দুই দিনেও খোঁজ মেলেনি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের (৩০)।
Advertisement
নিখোঁজ শহিদুল ইসলাম ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকার মিরপুরে গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতেন।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বাড়ি ফেরার পথে পদ্মা নদী পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গত দুদিন ধরে স্বজনরা ট্রলারযোগে পদ্মা নদীর বিভিন্ন জলমহাল খুঁজেও ব্যবসায়ী শহিদুলের সন্ধান পাননি।
নিখোঁজ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের বড় ভাই শাজাহান শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার দিন গ্রামের বাড়িতে জমি পরিমাপের দিন ধার্য ছিল। তাই ভোরের দিকে শহিদুল ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ওইদিন স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর থেকে পদ্মা নদীর মৈনট ঘাট কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ফাঁড়ি ও দোহার থানাসহ সংশ্লিষ্টদের জানানোর পরও আমার ভাইয়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় চরভদ্রাসন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা জানান, দুর্ঘটনাকবলিত দুটি স্পিডবোটে যাত্রী ছিলেন ১৮ জন। দুর্ঘটনার পর ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজন নিখোঁজ।। তবে ঘটনার দুদিনেও মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত পদ্মা নদীতে কোনো ডুবুরি দল নামানো হয়নি।
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ম্যানেজার গোলাম মোর্তজা জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ফরিদপুর ও মাদারীপুর ডুবুরি দল এখানে কাজ করবে।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে পদ্মা নদীতে ডুবুরি দল নামানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সুকুমার হালদার (৬০) নামের এক যাত্রী নিহত হন। তিনি ফরিদপুর শহরের গুহ লক্ষ্মীপুর গ্রামের সিরিস হালদারের ছেলে।
এন কে বি নয়ন/এসআর/জিকেএস