আন্তর্জাতিক

তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত বেড়ে ৪৩০০

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলে সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার ২২ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে উদ্ধারকারী দল রাতভর অভিযান চালিয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। এখন পর্যন্ত এই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩০০ জনে। গোটা বিশ্ব যখান যুদ্ধ, শরণার্থী সংকট ও গভীর অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত তখন আরও একটি মানবিক বিপর্যয় দেখছে।

Advertisement

সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে, যখন দেশটির প্রায় সব মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ বলছে, তুরস্ক, সিরিয়া, সাইপ্রাস ও লেবানন, ইসরায়েল ও মিশরেও অনুভূত হয় ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পনসহ শত শত আফটারশক তুরস্কে আঘাত হানে। এই ধাক্কার ধারাবাহিকতা ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল।

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯২১ জন। আহত হয়েছেন আরও ১৫ হাজার ৮৩৪ জন। এ নিয়ে সিরিয়া ও তুরস্কের মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৩০০ জনে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সানলিউরফা প্রদেশে ভূমিকম্প আঘাত হানার ২২ ঘণ্টা পর একজন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার ভোরের দিকে যখন মানুষজন ঘুমিয়ে ছিলেন ঠিক তখনই আঘাত হানে এই ভূমিকম্পে। ভেঙে পড়েছে প্রায় ২ হাজারের মতো ভবন। এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকা বহু মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন> ভূমিকম্পে সব হারানো তুর্কি নারী/ঘর নেই, খাবার নেই, বেঁচে থাকার কিছুই নেই

ইউএসজিএস জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে।

আরও পড়ুন> তুরস্কে উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ

Advertisement

১৯৩৯ সালের পর তুরস্কে এই প্রথম এ ধরনের শক্তিশালী ভূ-কম্পন অনুভূত হলো। ইউএসজিএস আরও জানিয়েছে, সে বছরও তুরস্কে ভূ-কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৮।

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা

এসএনআর/জিকেএস