তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দুই হাজার চারশ’র বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে কেবল তুরস্কেই মারা গেছে ১৬৫১ জন। অন্যদিকে সিরিয়ায় মারা গেছে ৮১০ জন। খবর আল-জাজিরার।
Advertisement
জানা গেছে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতের দিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সাত দশমিক আট মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
৪০ সেকেন্ড ধরে চলা এ ভূমিকম্পের কম্পন পৌঁছায় লেবানন ও সাইপ্রাসেও। জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের পর এটাই তুরস্কে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের পর তুরস্কে ঘানার জাতীয় দলের ফুটবলার নিখোঁজ
Advertisement
ধারণা করা হচ্ছে, ধসে পড়া ভবনগুলোতে অসংখ্য মানুষ আটকা পড়েছে। কর্মীরা ধ্বসংস্তূপের মধ্য থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা জোরালো করেছে।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্কের অন্তত ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব শহর দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। আল-জাজিরার সাংবাদিক সিনেম কোসেওগ্লু ইস্তাম্বুল থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কে ১০ শহর ক্ষতিগ্রস্ত, কিছু এলাকায় এখনও পৌঁছেনি উদ্ধার দল
তিনি জানান, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্কের বড় একটি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে অন্তত এক কোটি মানুষের বসবাস। তুর্কি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের জন্য এই দুর্যোগ মোকাবিলা করা কঠিন কাজ বলেও জানান তিনি।
Advertisement
১৯৯৯ সালের আগস্টে সাত দশমিক ছয় মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল মারমারায় আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।
এমএসএম/এএএইচ