তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শুধু সহস্রাধিক প্রাণহানিই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়িও। ধসে পড়েছে মসজিদসহ একাধিক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। এর মধ্যে দেশটির মালাটিয়ায় অবস্থিত ইয়েনি মসজিদ অন্যতম।
Advertisement
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর খবর অনুসারে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ইয়েনি মসজিদ বা নতুন মসজিদ।
আরও পড়ুন>> নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২০০, তুরস্কে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা
হাসি ইউসুফ মসজিদের জায়গায় নির্মিত ইয়েনি মসজিদ ১৮৯৪ সালের ৩ মার্চ কথিত ‘মহাভূমিকম্পে’ ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর জনসাধারণের সহায়তায় এর পুনর্নির্মাণ অব্যাহত ছিল। পরে সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের অবদানে শেষ হয় সেই কাজ।
Advertisement
ধসে পড়ার আগে দৃষ্টিনন্দন ইয়েনি মসজিদ। ছবি সংগৃহীত
১৯৬৪ সালের ১৪ মার্চ ভূমিকম্পে মসজিদটি আবারও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর গম্বুজ ও দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়, কোণার পাথরগুলো খসে পড়ে। পরে তুরস্কের জেনারেল ডিরেক্টরেট অব ফাউন্ডেশন এটি পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব নেয়। তাদের মাধ্যমেই মসজিদটি আবার মেরামত করা হয় এবং বড় মিনার স্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন>> তুরস্কে উদ্ধারকর্মী-ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে পাকিস্তান
সংস্কারের পর ইয়েনি মসজিদ গত বছর নামাজের জন্য ফের খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার আবারও ভূমিকম্পের আঘাতে ধসে পড়েছে সেটি।
Advertisement
ধসে পড়ার পরে ইয়েনি মসজিদের অবস্থা। ছবি সংগৃহীত
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হওয়া গাজিয়ানটেপে ঐতিহাসিক কপারস্মিথ বাজারের বড় অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে অবিরাম ভারি তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকারী দলগুলোর কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন>> বেঁচে যাওয়াদের মুখে ভয়াবহতার বর্ণনা
কেএএ/