ধর্ম

জীবন ব্যবস্থায় বাড়াবাড়ির বিধান

আল্লাহ তাআলা মানবমণ্ডলীকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদাতের জন্য। কিন্তু কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, ধর্মে কোনো জবরদস্তি নেই।` অর্থাৎ দ্বীন পালনে জবরদস্তি করা যাবে না বলেছেন। এ ব্যাপারে স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে-ইসলাম ধর্ম গ্রহণে মানুষের প্রতি জবরদস্তি করা হয় না এবং বাধ্যবাধকতাও করা যাবে না। কিন্তু যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে, তার জন্য ইসলামের বিধি-বিধান পালনে বাধ্যতামূলক করা অযৌক্তিক নয়।উদাহরণ স্বরূপ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের যে নিয়ম সর্বত্র স্বীকৃত তা তুলে ধরা যায়- কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভের জন্য কাউকে বাধ্য করা হয় না কিন্তু যদি কেউ স্বেচ্ছায় কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে, তখন সে ব্যক্তির উপর রাষ্ট্রের আইন-কানুন মেনে চলা আবশ্যক কর্তব্য হয়ে পড়ে। এমনকি তাকে রাষ্ট্রের আইন মানতে বাধ্য করা পৃথিবীর সকল দেশই কর্তব্য বলে মনে করে।আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন-দ্বীনের (জীবন-ব্যবস্থায়) মধ্যে কোনো বাড়াবাড়ি বা জবরদস্তি নেই।’ হ্যাঁ, আল্লাহ তাআলা সত্য কথা বলেছেন। এ কথা তাৎপর্য হলো- কোনো ব্যক্তিকে জবরদস্তি করে ধর্ম গ্রহণ করানো যাবে না।কিন্তু যখনই কোনো ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ধর্ম গ্রহণ করবে, তখন তার উপর ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন করা আবশ্যক কর্তব্য হয়ে পড়ে। যদি সে তা না করে, বিধান হচ্ছে তাঁকে ধর্মীয় রীতি-নীতি পালনে তাগিদ দেয়া আবশ্যক। প্রয়োজনে ধর্মীয় বিধানের আনুগত্য করার প্রতি আবশ্যকীয় করাও অযৌক্তিক নয়।আল্লাহ তাআলা মানুষের ঈমানের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পালনের সাথে সাথে কুরআনের বিধি-বিধানগুলো মানুষের জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি

Advertisement