তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার পাঁচশ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে কেবল তুরস্কেই মারা গেছে ৯১২ জন। অন্যদিকে সিরিয়ায় মারা গেছে ৫৮২ জন। খবর আল-জাজিরার।
Advertisement
জানা গেছে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতের দিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সাত দশমিক আট মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
৪০ সেকেন্ড ধরে চলা এই ভূমিকম্পের কম্পন পৌঁছায় লেবানন ও সাইপ্রাসেও। জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের পর এটাই তুরস্কে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
আরও পড়ুন>১৯৯৯ সালের পর শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক
Advertisement
এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ২ হাজার ৮১৮টি ভবন ধসে পড়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ধসে পড়া ভবনগুলোতে অসংখ্য মানুষ আটকা পড়েছে। কর্মীরা ধ্বসংস্তূপের মধ্য থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপড়তা জোড়ালো করেছে।
১৯৯৯ সালের আগস্টে সাত দশমিক ছয় মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল মারমারায় আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।
আরও পড়ুন>সংকট মোকাবিলার ওপর নির্ভর করছে এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ
Advertisement
এদিকে চলতি বছরের মে মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে তুরস্কে। কিন্তু এর মধ্যেই এলো ভয়াবহ ভূমিকম্পের খবর। ধারণা করা হচ্ছে, এই ইস্যুটি আসন্ন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ভূমিকম্পে তুরস্ক সরকারের জরুরি প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তার ওপর নির্ভর করতে পারে এরদোয়ান ফের ক্ষমতায় আসতে পারবেন কি না। ইস্তাম্বুল থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক রেসুল সেরদার এমন খবর জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তুরস্কের জন্য সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। একদিকে যেমন দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তেমনি রয়েছে রাজনৈতিক অবস্থা।
এমএসএম