নারায়ণগঞ্জে সাইজিং মিলের মেশিনের নাট-বল্টু চুরির অভিযোগে তিন মাদরাসা শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদারের বিরুদ্ধে।
Advertisement
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রামচন্দ্রদী গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে গোপালদী মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বায়েজিদ (১০), হাসানের ছেলে রামচন্দ্রদী মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম (৮) ও জজ মিয়ার ছেলে একই মাদরাসার শিক্ষার্থী আফরীদ (৮) সকালে মক্তবে যায়। মক্তব থেকে ফেরার পথে গোপালদী পৌর মেয়র হালিম সিকদারের মালিকানাধীন সিকদার সাইজিংয়ের সামনে পড়ে থাকা কয়েকটি নাট-বল্টু তারা কুড়িয়ে আনে।
এ ঘটনায় মেয়র তার লোকজন দিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে আটকে রেখে মারধর করেন। পরে রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ডে এনে ওই শিশুদের মাথার চুল কেটে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
Advertisement
এ বিষয়ে বায়েজিদের বাবা জাহাঙ্গীর বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আমার ছেলেসহ তিন শিশুকে নির্যাতন করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
তবে এ বিষয়ে গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, তারা আগে মাদরাসায় পড়তো, এখন পড়ে না। তাদের কাজই হচ্ছে আমার সাইজিং মিলের মালামাল চুরি করে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করা। এভাবে প্রতিদিন মিল থেকে মালামাল বিক্রি করতে করতে আমার প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মালামাল চুরির প্রমাণ পেয়েছি। তারা আমার কাছ স্বীকারও করেছে। যেহেতু তারা ছোট মানুষ, আমি তাদের পুলিশের কাছে দিইনি। তাদের আত্মীয়-স্বজন আমার মিলে চাকরি করে এবং আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আমার সামনেই একজনের চাচার তাদের শাসন করেছে। কেউ কারণ জানতে চাইলে তারা যেন বলতে গিয়ে শরম পায় এজন্য চুল কেটে দেওয়া হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, আমরা এরকম কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এমআরআর/এমএস