ভয়াবহে ভূমিকম্পের পর এবার তুরস্কে রক্তের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার আহত ব্যক্তির চিকিৎসায় দরকার হচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপের প্রচুর পরিমাণ রক্ত। এমন পরিস্থিতিতে তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের প্রেসিডেন্ট কেরেম কিনিক গোটা জাতিকে ভূমিকম্পে আহতদের জন্য স্বেচ্ছায় রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
Advertisement
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে এক টুইটে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে রক্তের অতিরিক্ত চালান পাঠানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি তিনি জনসাধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ভিড় না জমিয়ে উদ্ধারকারীদের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন>> তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প/ বেঁচে যাওয়াদের মুখে ভয়াবহতার বর্ণনা
আরও পড়ুন>> তুরস্কে ভূমিকম্প: ধসে পড়লো ২ হাজার ৮১৮ ভবন
Advertisement
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় জানান, সাত দশমিক আট মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্কে অন্তত এক হাজার ৭১৮টি ভবন ধসে পড়েছে। এর মধ্যে শুধু গাজিয়ানতেপ ও কাহরামানমারাস প্রদেশেই নয় শতাধিক ভবন ধসে পড়েছে।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। তাছাড়া সীমান্ত অঞ্চলের এ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৯১২।
আরও পড়ুন>> সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে গোটা বিশ্ব
ফুয়াত ওকতেই আরও বলেন, তুরস্কে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ৩৮৩ জন।। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে এয়ারক্রাফট। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বানও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
Advertisement
অন্যদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ভূমিকম্পের আঘাতে ৩২০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ার মানবাধিকারবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা নতুন এ তথ্য জানায়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ৬০০। তাছাড়া ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে আছেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুন>> তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প/ আফটারশক চলতে পারে কয়েকদিন, এমনকি মাসও: বিশেষজ্ঞ
স্থানীয় সময় সোমবার (৬ জানুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চল। এসময় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন অধিকাংশ মানুষ।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ বলছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় খারমানমারাস প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক-সিরিয়ার পাশাপাশি লেবানন ও সাইপ্রাসেও এ কম্পন অনুভূত হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ