জাতীয়

মেয়াদ বাড়ছে আড়াই বছর, অনুমতি মিলেছে বিশ্বব্যাংকেরও

করোনাভাইরাস সংকট ও ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় প্রস্তুতির জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণে বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট’। এ প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর ছয়মাস বাড়ছে। প্রকল্পের আওতায় দেশের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গ্যাসপ্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এ জন্যই মূলত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

Advertisement

প্রকল্পের মোট ব্যয় ছয় হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে মেটানো হবে ১৭২ কোটি টাকা। বাকি ছয় হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বিশ্বব্যাংক ঋণ। এ জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের অনুমতি প্রয়োজন। সেই অনুমতি মিলেছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এরইমধ্যে প্রকল্পের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ গোলাম নবী জাগো নিউজকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় আমরা তিনটি হাসপাতালে গ্যাসপ্ল্যান্ট স্থাপন করবো। এটা বাস্তবায়ন হলে করোনা সংকটে অক্সিজেনের কোনো সমস্যা হবে না। এজন্য প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর ছয়মাস বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের অনুমতি পেয়েছি।

আরও পড়ুন: করোনার ধকল মোকাবিলায় ২১২৫ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

Advertisement

অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, প্রকল্পটির অনুমোদিত মেয়াদকাল ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। হাসপাতালের জন্য ই-জিপি সিস্টেমে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে মেডিকেল যন্ত্রপাতি কেনা হবে।

বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী- প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সিডি ভ্যাটের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের সংস্থান পরবর্তী সংশোধিত প্রস্তাবে রাখা হবে। প্রকল্পের অধীনে কেনাকাটাসমূহ বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী বাস্তবায়ন হবে।

আরও পড়ুন: কর্মসংস্থান সৃষ্টি-জলবায়ু ঝুঁকি কমাতে আরও সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক

প্রকল্পের আওতায় ১৯টি মেডিকেল কলেজে অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি মাসে ই-জিপি (আন্তর্জাতিক দরপত্র পদ্ধতি) দরপত্র আহ্বান করা হবে। অবশিষ্ট আটটি মেডিকেল কলেজের স্থান নির্বাচন ও নকশা প্রণয়ন সমাপ্ত হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে ব্যয় প্রাক্কলনও করা হয়েছে।

Advertisement

এমওএস/এএএইচ