বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের নতুন সিনেমা ‘পাঠান’ বাংলাদেশে মুক্তির বিষয়টি অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। আরও যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চায় সরকার।
Advertisement
‘পাঠান’ মুক্তির আগেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। গত ২৫ জানুয়ারি সিনেমাটি মুক্তির প্রথম দিনই একশ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। মুক্তির পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৭২৯ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে সিদ্ধার্থ আনন্দর ‘পাঠান’, যা হিন্দি সিনেমার সর্বোচ্চ আয়।
সাফটা চুক্তির আওতায় সিনেমাটি আমদানি করে বাংলাদেশে মুক্তি দিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল ঢাকার পরিবেশক ও প্রযোজনা সংস্থা অ্যাকশান কাটি এন্টারটেইনমেন্ট।
আরও পড়ুন: ‘ডন থ্রি’ নিয়ে নতুন আলোচনায় শাহরুখ
Advertisement
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভায় বসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ।
বৈঠকের পর তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, যে নীতিমালার আওতায় সিনেমাটি আনা হবে, সেই নীতিমালায় এ সংক্রান্ত যে অনুচ্ছেদগুলো রয়েছে, সেখানে একটির সঙ্গে আরেকটি কিছুটা সংশয় তৈরি করেছে। তাই নীতিমালাটির ওই অনুচ্ছেদগুলোর বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ব্যাখ্যা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ ওই নীতিমালাটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। ব্যাখ্যা যেভাবে আসবে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘পাঠান’ সিনেমার সাফল্যের কারণ জানালেন অঞ্জন দত্ত
পাঠান মুক্তির বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা কী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কী ব্যাখ্যা দিয়েছে- জানতে চাইলে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, এখনও ওই রকমের কিছু আসেনি। আসলে একটু ডিফিকাল্টিজ আছে উপমহাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে। একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে কিছু করলে, পরে সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে। কোনোভাবে নীতিমালার ব্যত্যয় হলে সবাই এর সমালোচনা করবে। তাই আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।
Advertisement
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রয়েছেন। তারাও চিন্তা-ভাবনা করছেন। বিষয়টি সুরাহা করতে আমাদের সদিচ্ছার অভাব নেই।
অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, বিষয়টি সুরাহা হতে একটু সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে। সবাইকে সমন্বয় করে কাজটা করতে হয়। কিন্তু সবাইকে এক করাটা একটু কষ্টকর কাজ।
আরএমএম/আরএডি/জেআইএম