শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কসহ একাধিক অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক সহকারী প্রক্টর মাহমুদুর রহমান জনির বহিষ্কারের দাবি ও ভুক্তভোগীকে জোর করে দায়মুক্তিপত্র লেখায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবন ঘুরে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়ে। পরে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি তার অপকর্ম দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে অপকর্মের আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছে। ভ্রূণ হত্যা করার মতো অপরাধও তিনি করেছেন। আমরা জেনেছি তার ঘনিষ্ঠ লোকজনকে তদন্ত কমিটিতে রাখায় তারা সাদা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে নিপীড়ককে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাদের দাবি অবশ্যই তার বিচার করতে হবে। জনিকে বাঁচাতে যারা সহযোগিতা করতেছে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় উঠাতে হবে।
আরও পড়ুন: জাবির অফিস কক্ষে শিক্ষক-শিক্ষিকার সেলফি নিয়ে পোস্টারিং
Advertisement
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন, শিক্ষকদের যেখানে জ্ঞানের কথা বলার কথা সেখানে তারা বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে অশিক্ষকসুলভ আচরণ করে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে উচুপর্যায়ে আছেন এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকে জোরপূর্বক দামুক্তিপত্র লেখানোর অভিযোগ উঠেছে। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। ভ্রুণ হত্যার মত অভিযোগ যার বিরুদ্ধে সেখানে তদন্ত কমিটি কোনো অভিযোগই খুঁজে পেলেন না৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, নারী নিপীড়নের সঙ্গে, একাডেমিক কেলেঙ্কারি সঙ্গে যুক্ত একজন লোক কোন ক্ষমতা বলে ক্যাম্পাসে বিনা বিচারে থাকতে পারে তা বুঝতে পারি না। তদন্ত কমিটিকে প্রথম থেকেই ভয় পাচ্ছিলাম। তারা অভিযুক্তের দলীয় লোক। তদন্তের নামে এ প্রহসনের নিন্দা জানাই৷
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জনির পদত্যাগ
স্মারকলিপির বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, তারা তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সেই প্রতিবেদন আমি এখনও খুলেই দেখিনি। সিন্ডিকেটে সে প্রতিবেদন উত্থাপিত হবে। তদন্ত প্রতিবেদনটি আগে দেখি, তার পর মন্তব্য করবো।
Advertisement
মাহবুব সরদার/আরএইচ/জেআইএম