দেশজুড়ে

পর্যটকদের যাতায়াতের পথে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য

স্থায়ী ডাম্পিংয়ের অভাবে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন সড়কের দুপাশে ফেলা হচ্ছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার বর্জ্য। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। উড়ছে ময়লা পোড়ানোর ধোঁয়া। ফলে সড়ক দিয়ে লেম্বুরবনে যাতায়াতের সময় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পর্যটকদের।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটা পৌরসভার ময়লার গাড়ি প্রতিদিন ওই সড়কের পাশে ময়লা ফেলে যায়। বাসাবাড়ি, আবাসিক হোটেলের বর্জ্য, পলিথিন এমনকি মারা যাওয়া কুকুর, বিড়ালও মাটিচাপা না দিয়ে সেখানে ফেলা হয়। বারবার নিষেধ করা হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরু ব্যাপারী বলেন, ‘পৌরসভার বর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখার কারণে বাতাসে পলিথিন উড়ে। দুর্গন্ধে আশপাশের বাসাবাড়িগুলোতে থাকা যায় না। অতিথি এলে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পলিথিন জমার কারণে কোনো গাছপালা হচ্ছে না। শিশুদের কাশিসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। আমরা এটার দ্রুত সমাধান চাই।’

রশিদ কমান্ডার নামের এক ভ্যানচালক বলেন, ‘এখানে ময়লাগুলো পোড়ানোর কারণে আশপাশের গাছ মারা যাচ্ছে। ময়লা খেয়ে প্রতিনিয়ত পাখি-কুকুরও মরছে। দুর্গন্ধের কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে নাকে ধরে রাখতে হয়। পুরো এলাকায় খারাপ অবস্থা।’

Advertisement

রাস্তার পাশে স্তূপ রাখা ময়লা পোড়ানোর দায়িত্বে থাকা ফারুক হোসেন বলেন, ‘ময়লার গাড়ি এলে ময়লা ফেলার পর পেট্রোল দিয়ে পোড়াই। সব আবাসিক হোটেলের ময়লা ফেলা হয়। পলিথিন ও পশুপাখি মারা গেলে তাও এখানে নিয়ে আসা হয়।’

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন কয়েকগুণ বেড়েছে। তাই বড়-বড় শহরের চেয়েও বেশি বর্জ্য তৈরি হয় এখানে। কিন্তু ময়লা ফেলার জন্য ডাম্পিং ব্যবস্থা না নেই। তাই একটু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আশা করছি এক বছরের মধ্যে বর্জ্য ফেলার জন্য নিরাপদ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

এসজে/এমএস

Advertisement