ভারতের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী বাণী জয়রামের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে এই তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
চেন্নাই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর সময় বাণী জয়রাম বাড়িতে একা ছিলেন। বাণী জয়রামের পরিচারক শনিবার সকালে এসে দেখেন ভেতর থেকে বাড়ির দরজা বন্ধ। বারবার বেল বাজিয়েও কোনো সাড়াশব্দ না মেলায় সন্দেহ হয় তার।
Can’t accept the hard hitting reality that Legendary Singer Vani Jairam Amma is no more. We miss you Amma. Met her and recorded for my upcoming film “Malai” last August. And I’m shocked to know that she’s no more today.My prayers.May Her soul Rest in Peace.-D.Imman pic.twitter.com/Dy3YdXP4Yn
— D.IMMAN (@immancomposer) February 4, 2023এরপর তিনি প্রতিবেশীর বাড়ি যান, এবং তারা বাণী জয়রামের বোন ঊমাকে ফোন করেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ততক্ষণে এসে পৌঁছান শিল্পীর বোনও।
Advertisement
আরও পড়ুন: কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা কে বিশ্বনাথ আর নেই
এরপর পুলিশ এসে বাণী জয়রামের বাড়ির দরজা ভাঙেন, ঊমার থেকে বাড়তি চাবি নিয়ে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, জয়রাম পড়ে গিয়ে টেবিলে লেগে মাথায় চোট পান। কপালে হালকা ক্ষতচিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে।
সরকারি রয়াপেট্টা হাসপাতালে মরদেহ পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য। পুলিশ এটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিনেতা ডি এ তায়েবের মা আর নেই
Advertisement
সংগীত পরিচালক ডি. ইম্মন বাণী জয়রামের মৃত্যুতে টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, গত অগাস্ট মাসে বাণী জয়রাম তার আগামী সিনেমা ‘মালাই’য়ের জন্যও গান রেকর্ড করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের ৩০ নভেম্বর জন্ম নেন। নাম ছিল কালাইবাণী। বাণী জয়রাম খ্যাতির শিরোনামে পৌঁছান প্রথম ১৯৭১ সালে ‘গুড্ডি’ সিনেমার গান গেয়ে। তার কণ্ঠে বিখ্যাত ‘হম কো মন কি শক্তি দেনা’ এখনও মানুষের হৃদয়জুড়ে বাজছে। এম এস বিশ্বনাথন, কে ভি মহাদেবন, চক্রবর্তী, ইলাইয়ারাজা, সত্যম প্রমুখ প্রথম সারির সংগীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
সংগীতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মভূষণ’ লাভ করেছেন বাণী জয়রাম। তিনি প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। পাঁচ দশক ধরে গান গেয়ে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।
এমএমএফ/জেআইএম