বর্তমানে ওয়্যারলেস গ্যাজেট বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে ওয়্যারলেস হেডফোন, ইয়ারবাড এখন কমবেশি সবাই ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন দামে নামিদামি কোম্পানির পাশাপাশি ছোট গ্যাজেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও নিয়ে আসছে একের পর এক ইয়ারবাড। আকারে ছোট্ট হওয়ায় সহজে যেখানে খুশি নিয়ে যাওয়া যায়।
Advertisement
তবে সারাক্ষণ ব্যবহার করা হলেও নিয়মিত অনেকেই ইয়ারবাড পরিষ্কার করেন না। বিশেষ করে যেখানে সেখানে রাখার ফলে ইয়ারবাড নোংরা হয়ে যায় খুব দ্রুত। আবার তা যদি হয় সাদা রঙের তাহলে তো কথাই নেই। সাধের ইয়ারবাড কয়েকদিন ব্যবহারের পরই আর জনসম্মুখে বের করার উপায় থাকে না।
ইয়ারবাডের যে অংশ কানে লাগানো থাকে, সেই অংশই বেশি নোংরা হয়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে অনেক সময় ইয়ারবাডে শব্দ কমে যাওয়াসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি নোংরা ইয়ারবাড ব্যবহারে কানে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।
জেনে নিন খুব সহজে যেভাবে ইয়ারবাড পরিষ্কার করতে পারবেন-
Advertisement
>> ইয়ারবাড পরিষ্কার করার সময় মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করা উচিত। এটি তাদের স্ক্র্যাচ থেকে রক্ষা করবে। যে কোনো কাপড় দিয়ে মুছবেন না। এতে ইয়ারবাডে দাগ পরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
>> কটন বাড দিয়ে খুব সুন্দর পরিস্কার করা যায়। আলতো হাতে কটন বাড দিয়ে পরিস্কার করুন। কটন বাড দিয়ে ইয়ারবাড পরিষ্কার করলে কোনো ক্ষতি হবে না কারণ এগুলো খুবই নরম।
>> জোরে বাতাস দিয়েও ইয়ারবাডের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করা যায়। ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ইয়ারবাডের ভেতরে জমে থাকা ধুলা খুব সহজেই বেরিয়ে আসবে।
>> কয়েকদিন পর পর অ্যালকোহল ওয়াইপ দিয়ে ইয়ারবাড মুছে নিতে পারেন। এটি কেবল বাডগুলোকে জীবাণুমুক্ত করবে না, সঙ্গে সেগুলোকে পরিস্কারও রাখবে। যে কোনো ফার্মেসিতে অ্যালকোহল ওয়াইপ পেয়ে যাবেন।
Advertisement
>> ইয়ারবাড ভালো রাখতে ব্যবহারের পর চার্জিং কেসের ভেতর রাখুন। তবে ইয়ারবাডগুলো রাখার আগে চার্জিং কেসটিও পরিষ্কার করে নিন।
সূত্র: দ্য ভার্জ
কেএসকে/এমএস