খেলাধুলা

চট্টগ্রামকে হারিয়ে সাকিবদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ইমরুলের কুমিল্লার

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। প্লে-অফে নাম লেখানো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সামনে এখন বড় লক্ষ্য, সেরা দুইয়ে থাকার। সেই লক্ষ্যের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলো ইমরুল কায়েসের দল।

Advertisement

আজ (শনিবার) মিরপুরে বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৬ উইকেট আর এক ওভার হাতে রেখে হারিয়েছে কুমিল্লা। এই জয়ে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের সমান ১৪ পয়েন্ট হয়ে গেলো কুমিল্লার। তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় বরিশাল দুইয়ে আর কুমিল্লা আছে এখন তিনে।

কুমিল্লার জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৫৭ রানের। ওপেনার সৈকত আলি (১০ বলে ১৫), ইমরুল কায়েস (১১ বলে ১৬) আর জনসন চার্লস (১২ বলে ৯) সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফলে ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল কুমিল্লা।

সেখান থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ান আর মোসাদ্দেক হোসেনের ৪৭ বলে ৭৬ রানের জুটিতে ম্যাচ অনেকটাই হাতে নিয়ে আসে কুমিল্লা। দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন রিজওয়ান। পাকিস্তানি এই ব্যাটার ৪৯ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় করেন ৬৬ রান।

Advertisement

পরের পথটুকু অনায়াসেই মোসাদ্দেক আর জাকের আলি। মোসাদ্দেক ২৭ বলে ৩ চার আর এক ছক্কায় ৩৭ আর জাকের আলি ৭ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।

দুটি করে উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় আর জিয়াউর রহমান।

এর আগে পাকিস্তানি উসমান খান এবং বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট আফিফ হোসেন ধ্রুবর মারমুখী ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ৭ উইকেটে ১৫৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় চট্টগ্রাম।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মেহেদী মারুফের উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। মাত্র ২ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরে যান তিনি তানভির ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

Advertisement

এরপর খাজা নাফে আউট হয়ে যান মাত্র ২ রান করে। তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন উসমান খান এবং আফিফ হোসেন। দু’জন মিলে ৮৮ রানের জুটি গড়েন। ৪১ বলে ৫২ রান করেন উসমান খান। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

৪৯ বলে ৬৬ রান করে আউট হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১০ বলে ১২ রান করেন শুভাগত হোম। শেষ দিকে আফগান দারবিশ রাসুলি ৯ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।

কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম এবং হাসান আলি। ১টি উইকেট নেন সৈকত আলি।

এমএমআর/এমএস