বাংলাদেশ আর ভারতের সম্পর্ক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়ে তৈরি করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্পর্কটা অন্যরকম উচ্চতায় চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
Advertisement
তিনি বলেন, গঙ্গা বিলাস আসায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কটা যে কত উচ্চতায় আছে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে তা পৌঁছে যাবে। কারণ গঙ্গা বিলাসে ইউরোপের পর্যটকরাই আছে। তাদের মাধ্যমে এ সম্পর্কটা পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে যাবে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বাগেরহাটের মোংলা বন্দর জেটিতে গঙ্গা বিলাস জাহাজের পর্যটকদের স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানানোর সময় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গঙ্গা বিলাস বাংলাদেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত দিয়ে চলে যাবে। এতে শুধু জাহাজই যাবে না, আমাদের বন্ধুত্ব ছড়িয়ে বর্ণিল করে দিয়ে যাবে।
Advertisement
১৩ জানুয়ারি ভারতের বানারাসে বিলাসবহুল প্রমোদতরী এমভি গঙ্গা বিলাসের যাত্রার উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৭ জন সুইজারল্যান্ড ও একজন জার্মানি পর্যটক নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে শুক্রবার বাংলাদেশের সুন্দরবনের আংটিহারায় প্রবেশ করে জাহাজটি। পরে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে।
দুপুর আড়াইটার এ জাহাজটিকে স্বাগত ও পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকসহ নৌপরিবহন ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, সম্প্রতি মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে।
এমভি গঙ্গা বিলাসের ট্যুর অপারেটর জার্নি প্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান বলেন, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে লঙ্গেজ ট্যুর রিভার ক্রুজ। এটি দু'দেশের ৩২০০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দেবে।
Advertisement
আবু হোসাইন সুমন/এসজে/জেআইএম