বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশ করবে দলটি। অন্যদিকে, একই সময়ে শান্তি সমাবেশ আহ্বান করেছে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ। এমতাবস্থায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্কাবস্থায় রয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
Advertisement
শনিবার দুপুর ২টায় নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন কেসিসি মার্কেট এলাকায় বিভাগীয় সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে, নগরীর শিববাড়ী মোড় এলাকায় শান্তি সমাবেশ করবে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার খুলনায় ‘বিভাগীয় সমাবেশ’ করবে বিএনপি। এর একদিন আগে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সমাবেশের দিনে বিকেলে শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে ব্যাপক জনসমাগম করার ঘোষণাও দেয় দলটি। বৃহৎ দুই দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল-মামুন বলেন, শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও কাজ করছেন।
Advertisement
শুক্রবার রাত দশটার দিকে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার বিকেল ৩টায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ে তাদের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ শান্তি সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা, সব থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতাদের দুপুর আড়াইটার মধ্যে নগরীর শঙ্খ মার্কেট দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে জনসভায় পরিণত করে ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের এ ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না।
অন্যদিকে, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য এহতেশামুল হক শাওন বলেন, বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে সপ্তাহব্যাপী খুলনায় ব্যাপক প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা খুলনায় অবস্থান নিয়ে সশরীরে বিভিন্ন প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়েছেন। জেলার হাট-বাজারে, জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে কয়েক লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষ যাতে কর্মসূচিতে অংশ নেন সেজন্য ব্যাপক তৎপরতা চলছে।
বিএনপির কর্মসূচিতে খুলনা মহানগর ও জেলাসহ বিভাগের অন্যান্য সব জেলা থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের থাকার কথা রয়েছে।
Advertisement
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, একদিকে পুলিশ সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি ও হয়রানি করছে। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করেছে। বিএনপিও খুলনায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে।
আলমগীর হান্নান/এমএএইচ/