জাতীয়

দুবাই থেকে দেশে ফিরে মাদক কারবার

মো. সোহেল রানা (৩০)। পড়াশোনা করেছেন রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজে। সেসময় এক মাদক কারবারির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ২০১০ সালের ঘটনা এটি। তখন সোহেল রানা জানতে পারেন, মাদক কারবার করে অল্প সময়ে অধিক টাকা আয় করা যায়। এরপর পরিবারের চাপে চলে যান দুবাই। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর চলে আসেন দেশে।

Advertisement

দেশে আসার পর সেই মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার আবার কথা হয়। এরপর ২০১৭ সালে শুরু করেন মাদকের কারবার। গাড়ি চালানোর আড়ালে তিনি এই কাজ করতেন। বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিভিন্ন জেলায় নেওয়ার সময় মাদকের চালানও বহন করতেন সোহেল রানা।

আরও পড়ুন: মাদক মামলার হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে মাদক বিক্রি!

গত পাঁচ বছরে এভাবে ৬০টির বেশি মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর কাপ্তানবাজার থেকে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এসময় তার প্রাইভেটকারে ৫৮১ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়।

Advertisement

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক এসব তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: দেশে দেশে মাদক আইনের শাস্তি

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার মাদকের একটি চালান নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি হয় সোহেল রানার। তার কাজ হলো ফেনসিডিলের চালানটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছে দেবেন। চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন সোহেল। এরপর ফেনসিডিলের চালানটি নিয়ে ফেরার পথে কাপ্তানবাজার থেকে গ্রেফতার হন তিনি। উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিলের বাজারমূল্য প্রায় ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: এবার দেশে মিললো আরেক ভয়ংকর মাদক ‘ডিওবি’

Advertisement

এর আগেও ২০২১ সালে গাঁজার একটি চালানসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন সোহেল রানা। তখন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সে মামলায় তিন মাস জেলও খাটেন তিনি। পর জামিনে মুক্তি পান।

র‌্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, সে সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে র‌্যাব-১৪ এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সোহেল রানা। জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় মাদক কারবার শুরু করেন। প্রতি চালানে ৫০০ হতে সর্বোচ্চ দুই হাজার বোতল ফেনসিডিল বহন করেন তিনি।

আরএসএম/জেডএইচ/এমএস